
মানছুর রহমান জাহিদঃ পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত অসুস্থ এক হনুমান চিকিৎসার জন্য মানুষের দৌড়গড়ায় এমনটাই ঘটেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্যামনগড় গ্রামে। জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ শুক্রবার একটি হনুমান উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের শ্যামনগড় গ্রামের মৃত তারক চন্দ্র কর্মকারের বাড়ি আসে। হনুমানটি তাদের বাড়ি আসায় বাড়ির লোকজন হনুমানটিকে বিভিন্ন খাবার খেতে দেন। এ বিষয়ে মৃত তারক চন্দ্র কর্মকারের ছেলে স্বপন কর্মকার বলেন, হনুমানটি গত শুক্রবার আমাদের বাড়িতে আসার পর তাকে আমার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন প্রকার খাবার খেতে দেন। এবং সেদিন হনুমানটি সারাদিন আমাদের বাড়িতেই ঘোড়াফেরা করে রাতে চলে যায়। পরদিন শনিবার বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে হনুমানটি আমার কাকা মৃত নিতাই কর্মকারের বাড়িতে আসে। এ সময় আমার কাকার ছেলে দীলীপ কর্মকারের স্ত্রী আমার বউদি কল্পনা ওরফে পুতুল হনুমানটিকে খাবার খেতে দেয় এবং হনুমানটিকে বিভিন্ন ভাবে আদর করেন। এ পর্যায়ে আমি বাড়ি থেকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে রওনা হওয়ার সময় হনুমানটি আমার পা টেনে ধরে এবং আমার কাঁধে থাকা বেগ ধরে টানাটানি করতে থাকে। এ সময় সে আমাকে তার ডান পায়ে ক্ষত জায়গাটির দিকে ইশারায় বুঝাতে চান। তার পায়ের ক্ষত জায়গাটি দেখে তার ভাষা বুঝতে আমার আর বাকি রইলো না। তৎক্ষণাৎ আমি আমার বড় ভাই প্রকাশ কর্মকারের সাথে আলোচনা করে নিকটস্থ পল্লী চিকিৎসক মোঃ হালিম সানাকে ডেকে এনে ভাইপো কুমারেশ কর্মকার, সৌরভ কর্মকারসহ পরিবারের লোকজনের সহায়তায় হনুমানটি চিকিৎসা সেবা প্রদান করি। এবিষয়ে পল্লী চিকিৎসক হালিম সানা বলেন, ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে হনুমানটির ডান পায়ে ক্ষতস্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করি। আমি আশা করি হনুমানটি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন। বাড়ি অন্যান্য লোকজন জানান, হনুমানটি প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসে।
এমন মহত্ত্বের পরিচয় দিয়ে হনুমানের চিকিৎসা সেবা করায় এলাকায় প্রশংসায় ভাসছেন পল্লী চিকিৎসকসহ পরিবারটি।
আপনার মতামত লিখুন :