
মিশারুল ইসলাম, খুলনাঃ এই প্রথম খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের একটি ছেলেকে সার্জারি করে মেয়েতে রূপান্তর করা হলো । বিরল এ সফল সার্জারিটি সম্পন্ন করেছেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইউরোলোজিস্ট অ্যান্ড অ্যান্ড্রোলজিস্ট ডা. নিরুপম মন্ডল। সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে অপারেশন চালিয়ে অবশেষে এই কাজে সফল হন তারা।অপারেশনটি সম্পন্ন হয়, আহাসান আহমেদ রোডের ভিক্টোরিয়া নার্সিং হোমে।
শুক্রবার এ অপারেশন করা হয়। সহযোগী হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ডা. সামসুন নাহার লাকি, প্রফেসর ডা. দিলীপ কুন্ডসহ অন্যান্যরা। দক্ষিণাঞ্চলে এ ধরণের অপারেশন এটাই প্রথম।
অপারেশনের পর রোগী ভালো আছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ১০ বছরে মাত্র ১টি অপারেশন হয়েছিল। এটা সাধারণত কেউ করেন না। অনেকে লজ্জার ভয়ে গোপনে পাশের দেশে করেন , আবার যার সামর্থ্য থাকে সে উন্নত দেশে চলে যায়। এখানে এ ধরনের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়া এটাই প্রথম এবং গর্বের বিষয়।
১৭ বছরের একজন ছেলেকে অপারেশন করে নারীতে রূপান্তর করা হয়েছে। তিনি ভিতরে জীনগতভাবে পুরুষ, কিন্তু বাইরে নারী।
একজন নারীর যেসব বৈশিষ্ট রয়েছে তা সবই রয়েছে তার। তার দুটো ব্রেস্ট আছে। সে দেখতে আকর্ষণীয় সুন্দরী। তার বড়-বড় চুল আছে। কণ্ঠস্বর নারীর মত। তার চলন-বলন, শরীরের গঠন অঙ্গভঙ্গি সবই নারী। কিন্তু তার ভিতরটা পুরুষের মতো। পুরুষের অন্ডকোষ দ্বিখণ্ডিত করলে যেমন হয় তেমন রয়েছে। কিন্তু সেটা বাইরে নয় ভিতরে রয়েছে, পুরুষাঙ্গ রয়েছে। তার মাসিকের রাস্তা নেই, শরীরে ডিম্বাশয় থাকার কথা কিন্তু নেই, জরায়ু থাকার কথা ছিল কিন্তু নেই। ভিতরে-ভিতরে সে একজন পুরুষ, বাইরে নারী। সামাজিকভাবে নারী হিসেবে বড় হয়েছে। ১৭ বছর বয়স হয়ে গেছে। এখন সে ও তার অভিভাবকরা চায় নারীতে রূপান্তরিত হতে।
রোগীর অভিভাবকরা বলেন, সে ছোট বেলা থেকেই মেয়েদের সঙ্গে মিশতো। সবাই তাকে মেয়ে হিসেবে চেনে। আমরা চেয়েছিলাম সে সমাজে মেয়ে হিসেবে পরিচিত হোক, সংসার করুক। তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :