নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজারঃ বনভূমি সংরক্ষন ও বনজ গাছ রক্ষায় নিয়োজিত বন প্রশাসন। বনজ সম্পদ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের ফুলছড়ি সদর বিট। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা এবং অভিযুক্তদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছেন বনবিভাগ। কয়েক মাস পূর্বে খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি রেঞ্জ ও ফুলছড়ি বিটের আওতাধীন জঙ্গল খুটাখালী মৌজার আরএস ৬৯ নং খতিয়ানের ২০৮০ দাগের সংরক্ষিত পাহাড়ি বনভূমি কেটে সাবাড় করেছেন খুটাখালী পূর্বপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের মৃত বশির ড্রাইভারের দুই পুত্র মোহাম্মদ আলী লিটন ও মোঃ ইব্রাহিম। কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকার সংবাদের মাধ্যমে জেনে ফুল রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশনায় বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করে ফুলছড়ি বনবিট কর্মকর্তা ফজলুল কাদের চৌধুরী। অভিযানে সংরক্ষিত বনভূমি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির সত্যতা পাই বনবিভাগ। পরবর্তীতে পাহাড়খেকো মোহাম্মদ আলী লিটন ও মোঃ ইব্রাহিমের বিরোদ্ধে বন আইনে ৪টি মামলা দায়ের করেন। ২৮-০১-২৪ ইং তারিখে ফুলছড়ি বিট স্বারক নং ৮/১৫ এবং ১১-০২-২৪ ইং তারিখে ১৩/১৫। বিট ১৭/১৮
বিট কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায় পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে প্রাথমিকভাবে বারন করার পরেও বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভুমিকে নিজের খতিয়ানভুক্ত জমি দাবি করে পাহাড় কেটে সাবাড় করে পেলে। বেশ কয়েকবার অভিযান করেও থামানো যায়নি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির এই মহোৎসব। উল্টো বনবিভাগকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে হুমকি ধমকিও দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিট কর্মকর্তা ফজলুল কাদের চৌধুরি বনভুমি রক্ষায় বন আইনে তাদের বিরোদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায় পরিবেশে অধিদপ্তর কক্সবাজারকে লিখিত আবেদন করার পর অবশেষে ১০ ফেব্রুয়ারি পরিবেশের একটি তদন্ত টিম পরিদর্শনে আসে।
এই বিষয় নিয়ে পরিবেশে অধিদপ্তর কক্সবাজার অঞ্চলের পরিদর্শক মুসাইব প্রতিবেদককে জানান তদন্ত টিম পাহাড় কাটার সত্যতা পেয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাহাড় কেটে বনভুমি দখল ও মাটি বিক্রিতে জড়িত চার জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খুটাখালীর এক ব্যবসায়ী জানান প্রভাবশালী মহলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষায় বনবিভাগের নিয়মিত অভিযান ও মামলা দায়ের করার মতোন সাহসী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা হুমায়ন আহামেদ জানান সংরক্ষিত বনভুমি রক্ষায় বন প্রশাসন। জনবল সংকটের কারনে নিয়মিত অভিযান করা সম্ভব হয় না। তবুও বনভুমি রক্ষায় সম্ভব সকল পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে ফুলছরি রেঞ্জ বদ্ধ পরিকর।
আপনার মতামত লিখুন :