• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন

খননের নামে জামালগঞ্জে জলমহাল শুকিয়ে মাছ নিধন করছে ইজারাদার


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২, ২:৪০ অপরাহ্ন / ২৯৪
খননের নামে জামালগঞ্জে জলমহাল শুকিয়ে মাছ নিধন করছে ইজারাদার

কুতুবউদ্দিন তালুকদার বিশেষ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বড়চাটুয়া গ্রুপ জলমহালের তলা শুকিয়ে মাছ নিধন করছে ইজারাদার ও সাব-ইজারাদার। উক্ত গ্রুপ জলমহালের বর্তমান প্রকৃত ইজারদার হচ্ছে জামালগঞ্জ উপজেলার মাতারগাঁও মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি.। এই সমিতি দুই বছর আগে মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার তদবিরে জেলা প্রশাসন থেকে জলমহালটি ইজারাপ্রাপ্ত হয়। এরপরই উক্ত সমিতি থেকে জলমহালটি কয়েকদফা বিভিন্ন ব্যক্তির হাতবদল হয়ে সবশেষে উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের বিছনা গ্রামের রফিক মিয়া গং কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির সাব-ইজারার দখলদারিত্বে চলে যায়। এজলমহালের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চারটি অংশে রয়েছে যথাক্রমে ঘইন্যার বিল, বড় চাটুয়া, ছোট চাটুয়া, ঠাকুরাই। প্রতি বছর জলমহালের তলা শুকিয়ে সকল প্রজাতির মাছ সমুলে নির্বংশ করায় স্থানীয় ভাবে প্রতিবাদ করা হলে গেল২০২১ ইং সনে সমিতির লোকেরা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। এবছর জলমহাল শুকাতে এসে এলাকাবাসীকে তারা জানিয়েছেন, বিলের চারটি অংশের জলমহাল খনন করে এটি অভয়াশ্রম করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছেন। তাই জলমহালের তলা শুকাতে হবে। এতে এই বিশাল গ্রুপ জলমহাল এলাকার লোকজনের কাছে বিষয়টি ধাপ্পাবাজি বলে মনে হচ্ছে। কারণ হিসেবে এলাকার লোকজন বলছেন, বিগত দুই দশক ধরেই এই বিশাল জলমহালটি খনন আর অভয়াশ্রম করার গল্প শুনে আসছি। জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরার পর আর কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না। বিগত দিনে এলজিইডি বিভাগের অধীনে সিবিআরএমপি/হিলিপও একই গল্প শুনিয়ে গেছে। কারো পক্ষেই এই ব্যয়বহুল কাজ হাতে নেওয়া হয়নি। আর মাতারগাঁও মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির তো বড় বাজেটের এই কাজ করার কোন আর্থিক সক্ষমতাই নেই। এই সমিতির লোকজন বিল জলমহাল ইজারা আনে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ফরমায়েশী টাকা দিয়ে। ইজারা পাবার পর সামান্য লভ্যাংশ পেয়ে সাব-ইজারাদারকে বিলের দখল দিয়ে দেয়। জলমহাল খনন করার কথা বলে বিলের তলা শুকিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটা একটা ছলচাতুরী ছাড়া আর কিছুই নয়। এব্যাপারে সমিতির প্রাক্তন সভাপতি পিযুস তালুকদার জানান, গত বছর জলমহালটি সমিতির নিজ খরচে খনন করে অভয়াশ্রম করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে অনুমতি প্রাপ্ত হয়েছেন। এবিষয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসক উভয়ের কাছে জানতে চেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেন নি।