• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ন

ক্যাশলেস সোস্যাইটির দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী


প্রকাশের সময় : জুলাই ৩, ২০২১, ৬:৫৬ অপরাহ্ন / ২০৮
ক্যাশলেস সোস্যাইটির দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

মনিরুজ্জামান অপূর্ব,ঢাকা : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণের ফলে দেশে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমাদের তুলনায় এমএফএস পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশও সম্প্রসারণ করতে পারেনি। মোবাইল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইস হওয়ায় এমএফএস এর মাধ্যমে ক্যাশলেস সোস্যাইটির দিকে বাংলাদেশ দ্রুত ধাবিত হচ্ছে। তিনি বিদ্যমান এমএফএস প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ইন্টারঅপারেবিলিটি পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে এই সেবাটিকে আরো জনপ্রিয় করতে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় টেলিকম খাতের রিপোর্টারদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনটি) আয়োজিত ‘ভাতা বিতরণে ডিজিটাল প্রযুক্তি : স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ইউসুফ আলী, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির,অ্যামটবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিআইএম নূরুল কবির এবং নগদ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এমএফএস এর অব্যাহত অগ্রগতিকে ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের একটি বিস্ময়কর অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের জন্যে এটি একটি দৃষ্টান্ত। আমাদের এই অবস্থান আগামীদিনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এই খাতের অগ্রগতিতে আমরা কাজ করছি এবং যে কোন সহযোগিতা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। টেলিকম সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গৃহীত যুগান্তকারি বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০২০ সালে দেশে কোভিড অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রায় ডিজিটাল সেবা একটি বিস্ময়কর বন্ধু হিসেবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে করোনাকালেও জীবনযাত্রাসহ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে।করোনাকালেও থ্রিজি নেটওয়ার্ককে দেশের প্রায় শতভাগ অঞ্চলে ফোরজি নেটওয়ার্কে রূপান্তরিত করে দেশের প্রত্যন্তে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ডেটার বর্ধিত চাহিদা পুরণ করা হয়েছে, ডেটার স্পিড সম্প্রসারণ করা হয়েছে । বেতার তরঙ্গ নিলাম করে নেটওয়ার্ক উন্নত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুর্গম চর, দ্বীপ ও হাওর অঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইভার নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেয়ার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এবছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সম্পন্ন হবে বলে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী উল্লেখ করেন। কম্পিউটারে বাংলাভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশ নামক দেশটি প্রতিষ্ঠা করে যাননি তিনি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেটি আজ বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। তিনি বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আজ দেশের শতকরা ৯৮ভাগ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এবং দেশের মোট চাহিদার শতকরা সত্তর ভাগ মোবাইল সেট বাংলাদেশ থেকে উৎপাদিত হচ্ছে।আমরা ফাইভ জি মোবাইল রপ্তানি করছি। তিনি বলেন প্রধান মন্ত্রী চেয়েছিলেন জনগণ সেবা নিতে আসবে না, জনগণকে সেবা পৌছে দিতে হবে। ইতোমধ্যে ৩০০শত ডিজিটাল সেবা জনগণকে পৌছে দেয়া হচ্ছে। খুব সহসাই জনগণের দোরগোড়ায় তিন হাজার ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ দর্শন আজ সারা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছে। এই কর্মসূচির কারণে করোনাকালেও দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমএফএস এর মাধ্যমে ভাতা ভোগীদের মধ্যে যথাসময়ে ভাতা পৌঁছে দেওয়ার কাজটি একটি মাইল ফলক ঘটনা। এই কাজের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এর সহযোগিতা ও তার সময়োচিত পরামর্শ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এই জন্য টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত করতে ষড়যন্ত্রকারিরা অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু সফল হয়নি। ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় দেশের ১৭কোটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিশ্ব আজ বিস্মিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।