• ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:০৪ অপরাহ্ন

কুমিল্লা দেবীদ্বার পৌর এলাকায় ময়লার ভাগাড় : বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৯, ২০২৩, ১০:৫৩ অপরাহ্ন / ৩৫
কুমিল্লা দেবীদ্বার পৌর এলাকায় ময়লার ভাগাড় : বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক

এম রাসেল সরকারঃ কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌর শহরের আনাচে-কানাচে এমনকি বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের পাশে স্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়। আর এসব জায়গা থেকে দিন-রাত সার্বক্ষণিক পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। পাশাপাশি ময়লার স্তূপগুলো এখন মশা উৎপাদনের উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এতে পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। ১৯ আগস্ট শনিবার দুপুরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন রোগী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত দেবীদ্বার পৌরসভা দীর্ঘ ২১ বছর পর গত ১৭ জুলাই প্রথম নির্বাচন হয়। এ পৌরসভায় বর্তমানে লোকসংখ্যা লক্ষাধিক। কিন্তু নাগরিক সুবিধা রয়েছে আগের মতোই। প্রায় প্রতিটি সড়কই চলাচলের অযোগ্য, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। বিল্ডিং কোড না মেনে সড়কের ওপরই যার যেভাবে ইচ্ছে নির্মাণ করছেন ছোট-বড় এবং বহুতল ভবন। বিভিন্ন স্থানে ডোবা নালাগুলো সারা বছরই ভরে থাকে আবর্জনা ও কচুরীপানায়। বিশেষ করে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বড় আলমপুর এলাকায় কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়কের পাশে স্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়।

এ থেকে মশা উৎপাদনসহ ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগবালাই। তা ছাড়া দুর্গন্ধে নাকে কাপড় দিয়ে পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বার বার অভিযোগ দেয়ার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি মশা নিধনের জন্য পৌরসভায় উন্নতমানের একাধিক ফগার মেশিন থাকলেও তা মাঝে মাঝে ব্যবহার করা হয় শুধু লোক দেখানোর জন্য। এ কারণে পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব দিন দিনই বাড়ছে। আর সেই সাথে জনসাধারণের মাঝে বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌর এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, পৌরসভার অধিকাংশ সড়কই খানাখন্দে একাকার। ড্রেনেজ ব্যবস্থা তেমন নেই বললেই চলে। যে দু-চারটি আছে তা খুবই নোংরা অবস্থায় পড়ে আছে। তা ছাড়া বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখায় মশা এবং দুর্গন্ধে পথচলা দায় হয়ে পড়েছে।

শনিবার দুপুরে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুর রহমান ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুল জানান, এ পর্যন্ত ৬৫জন রোগীর ডেঙ্গু সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনকে কুমিল্লা মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এবং ৪৮জনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ যথাযথ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মারাত্মকভাবে বাড়লেও দেবীদ্বারে সে হিসেবে কিছুটা কম।

দেবীদ্বার পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, মশা নিধনে ফগার মেশিন দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় স্প্রে করা হচ্ছে। তা ছাড়া ড্রেনগুলোও পরিষ্কার করা হচ্ছে।