এম রাসেল সরকারঃ কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা রায়েরবাগ ও চট্টগ্রাম থেকে শনিবার (৬ মে) তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।গ্রেপ্তারকৃতরা হলো শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার (৪০), তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। মো. ইসমাইল (৩৬) ও শাহ আলম ওরফে পা কাটা আলম (৩৬)।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কুমিল্লা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানভীর মাহমুদ পাশা।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে র্যাব-১১ এর একাধিক টিম ছায়া তদন্তে মাঠে কাজ করছে। র্যাব ঘটনাস্থলসহ আশপাশের বাড়িঘর ও স্থাপনার বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। র্যাবের গোয়েন্দা তথ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার দিনে-রাতে ঢাকার রায়েরবাগ এলাকা থেকে শাহিনুল ইসলাম ও মো. ইসমাইল এবং চট্টগ্রাম থেকে শাহ আলম ওরফে পা কাটা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, এ মামলার এজাহারনামীয় অপর ছয় আসামির মধ্যে সুজন ও আরিফ নেপালে, বাদল দুবাই, শাকিল ভারতে ও অলি হাসান সৌদি আরবে এবং কালা মনির পালিয়ে গেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, কিলিং মিশনে অংশ নেয়া বোরকা পরা ৩ দুর্বৃত্তের পরিচয় অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় এখনই বলা যাচ্ছে না। বিদেশে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ইণ্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে। অভিযান চলমাল রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে দাউদকান্দির গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাহ এলাকার মসজিদ গলিতে জামাল হোসেনকে (৪০) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জামাল তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর ২ মে রাত সাড়ে ১১টায় জামালের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আপনার মতামত লিখুন :