নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লাঃ কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ভারেল্লা সম্পত্তি বিরোধের জেরে ঘুমন্ত পরিবারের ওপর পূর্বপরিকল্পিত হামলায় গুরুতর আহত একই পরিবারের ৫জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
জড়িত মূল আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি ও মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার বাদী সীমা আক্তার জানান, প্রতিপক্ষ একই বাড়ির জেঠা ইয়াছিন মিয়ার সাথে পূর্ব শত্রুতা ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ভারেল্লা কসাই জসিম মেম্বার বাড়ি এলাকার রমজান আলীর মেয়ে ভুক্তভোগী সীমা ও হাসপাতালে ভর্তি আহত রমজান আলীসহ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ মার্চ ভোর আনুমানিক ৬টায় রমজান আলী বাজারে ব্যবসার উদ্দেশ্য রওয়ানা হলে বাড়ির সামনের সড়কে তার বড় ভাই ইয়াছিন মিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ইয়াছিন মিয়ার ছেলে জসিম, সুমন, সাইফুল ও সুজনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন রমজান আলিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে রমজান।
পরে সংঘবদ্ধ বাহিনী নিয়ে রামজান আলীর ঘুমন্ত পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দা ছেনী সহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে সীমাসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় বলেও জানায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা৷ স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সীমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সেদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ইয়াসিন মিয়া ও সুমন নামে দুজনকে আটক করে দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশ।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ , ঘটনার পর থেকে পলাতক অন্যান্য আসামীরা মামলা তুলে নিতে গত দুদিন ধরেই ফোনে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে আবারো হামলা এবং হত্যার হুমকিতে আতংকের মধ্যে রয়েছে পরিবারের নারী শিশুসহ সকলে। পলাতক আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বর্বরোচিত এই হামলার দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবি জানায় ভুক্তভোগী পরিবার ও তাদের স্বজনরা।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটানায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :