• ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১১ অপরাহ্ন

কিশোরীকে অপহরণ করে যৌনপল্লীতে বিক্রির হুমকি প্রেমিকের!


প্রকাশের সময় : জুলাই ২৫, ২০২১, ৫:১৫ অপরাহ্ন / ৩৬৩
কিশোরীকে অপহরণ করে যৌনপল্লীতে বিক্রির হুমকি প্রেমিকের!

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঈদের দিন সন্ধ্যায় এক কিশোরীকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না দিলে তাকে দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীতে বিক্রি করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এরপর বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে এমন একটি বার্তা দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়।

বার্তা পেয়েই দ্রুত মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় পুলিশ সদর দফতর।

শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানার পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানা যায়।

তিনি বলেন, মুক্তাগাছা থানার ওসি প্রযুক্তির সহায়তায় ও প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারেন মেয়েটির অবস্থান রাজবাড়ী জেলার পাংশা এলাকায়। এরপর কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য এসআই মাসুদুর রহমান এবং এসআই মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দুটি টিম নিয়োজিত করেন পাংশা থানার ওসি মাসুদুর রহমান।

এরপর সংশ্লিষ্ট জেলার সাইবার ও ডি‌বি পুলিশসহ একাধিক টিমের চেষ্টায় কিশোরীকে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী জেলার পাংশা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী হিসেবে চিহ্নিত দুর্জয়কে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার মেয়েটিকে উদ্ধারে সহযোগিতা করেন। উদ্ধার অভিযানসহ অপারেশনাল সার্বিক বিষয় তত্ত্বাবধান করেন রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এমএম শাকিলুজ্জামান এবং ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহা. আহমার উজ্জামান।

মেয়েটিকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েক মাস আগে অনলাইনে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুর্জয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেয়েটির। এক পর্যায়ে বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে দুর্জয়ের সঙ্গে পালিয়ে যান তিনি। দুর্জয় মেয়েটিকে প্রথমে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর সেখান থেকে তার নানা বাড়ি রেখে আসেন মেয়েটিকে। মেয়েটির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সে দুর্জয়কে ভালোবাসে এবং তার সঙ্গেই থাকতে চায়।

প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্জয়ের দিকের কেউ বা এলাকার কোনো দুষ্টচক্র মেয়েটির পরিবারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে দুর্জয় ও মেয়েটির পরিবার থেকে সুবিধা আদায় করতে চেয়েছিল।

এ বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধীদের খুঁজে বের করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এআইজি সোহেল রানা। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।