এম রাসেল সরকারঃ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামঅভিমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আটকে আছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টায় ছেড়ে যেতে পারেনি। ট্রেনটি তিনটা বগিতে এয়ার প্রেশার না থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
দুর্ঘটনার পর খুব তড়িঘড়ি করে সদ্য আমদানি করা কোরিয়ান কোচ দিয়ে রেক সাজিয়ে ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ ট্রেন চলাচল শুরু করেছিল। কিন্তু পঞ্চম ট্রিপ শেষে ষষ্ঠ ট্রিপে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে কমলাপুর স্টেশনে আটকে গেছে কোরিয়ান কোচের রেক।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্ব) তাপস কুমার দাস, জুনিয়র বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (পূর্ব) বোরহান উদ্দিন, কোচ সংগ্রহ প্রকল্পের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক পার্থ সরকার, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
তারা জানিয়েছেন, মূলত ট্রেনের কোচের ব্রেকিং সিস্টেম সচল রাখতে ভেকুয়াম প্রেসার পাঁচ প্রয়োজন হয়। কিন্তু কোনোভাবেই সেই প্রেসার রেট ২.৫ এর ওপরে উঠছে না। শুরুতে তিন হাজার সিরিজের একটি লোকমোটিভ ব্যবহার করলে সেটি ঠিকঠাক কাজ করছিল না। পরে সেটি পরিবর্তন করে ২৯১৫ নম্বর লোকমোটিভ ব্যবহার করলে ভ্যাকুয়াম প্রেসার চার পর্যন্ত উঠেছে। কিন্তু এটি নিয়েও রেক চালানো সম্ভব না। এতে ব্রেক ফেল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৭) ট্রেন গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনে দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ট্রেনের ১৪টি কোচের মধ্যে সাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ঈদে যাত্রী পরিবহনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমদানি করা নতুন কোরিয়ান কোচ দিয়ে তড়িঘড়ি করে রেক সাজিয়ে ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ চালু শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
জানা গেছে, নতুন রেকের কোচে রয়েছে অটোমেটিক স্লাইডিং ডোর, স্বয়ংক্রিয় এয়ার ব্রেক, আরামদায়ক সিট, বায়ো টয়লেট, টয়লেটের বাইরে আলাদা বেসিন, প্রতিটি সিটের পাশে ইউএসবি পোর্টসহ বৈদ্যুতিক সকেট, জরুরি হ্যামার, আধুনিক শব্দহীন বৈদ্যুতিক ফ্যান, সিসি ক্যামেরাসহ আরো নতুন কিছু প্রযুক্তি।
আপনার মতামত লিখুন :