নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদে নাসি খাল দখলে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার দুপুরে বর্ণিত ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়ালখালীর বদিউদ্দিন পাড়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে সালাউদ্দীন জঙ্গি ও সালমান উদ্দীনের নেতৃত্বে অবৈধ ভাবে নাসি খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়া দেখা গেছে।
সালাউদ্দীন জঙ্গি মূলত ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের চিহ্নিত দালাল হলেও ভূমি অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব খাটায় ! ভূমি অফিসে প্রায় সকল ডুপ্লিকেট কাজ কর্ম টাকার বিনিময়ে করে থাকে দালাল সালাউদ্দীন জঙ্গী এবং তার অপর ভাই সালমান উদ্দীন রেলওয়েতে চায়না কোম্পানীর শ্রমিক হিসেবে কাজ করার ফাঁকে রেললাইনের বিটসহ লোহা-লংকর চুরিও করে।
চুরি করে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার অপরাধে তাকে চাকুরিচ্যুতও করেছিলো ! তারা দুই ভাই নানান অপকর্ম করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। টাকার গরমে ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে শত বছরের খাল ভরাট করে বহুতল ভবন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জানা যায়, গেল ১৯৮৬ সালে পূর্ব-পশ্চিম ৮০ ফুট নাসি খাল এখন ৫ ফুট হয়ে গেছে। এই খাল দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে । খালের দু’পাশে চলছে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিযোগিতা। অন্যদিকে ময়লা আবর্জনায় দুষিত হয়ে যাচ্ছে নদীর পানি। এক খালে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষি, ক্ষেতখামার,লবনচাষ,মৎসসহ এলাকার লোকজনের জীবন জিবীকা নির্ভর করে। সড়ক ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পূর্বে দেশবিদেশে ব্যবসা বাণিজ্য ও যাতায়াত এ খালের উপর নির্ভরশীল ছিল ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সদর উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক রেজাউল করিমের সাথে কথা হলে দখলের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকা উৎপ্রোতভাবে জড়িত । এক সময় এ নদী মৎস্যভান্ডারে ভরপুর ছিল , কিন্তু বর্তমানে খাল নদ-নদীর এ দুরাবস্থায় এলাকাবাসী চরম হতাশাগ্রস্থ ।
এলাকায় আশংকাজনক হারে খাল দখল হয়ে যাচ্ছে । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে খাল রক্ষা করা যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা।
খাল দখলের বিষয় জানতে সালা উদ্দীন জঙ্গির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খাল দখল করা হচ্ছে না, আমার আব্বুর নামে থাকা খতিয়ান ভুক্ত জমিতে মাটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। আর হে আমি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিই না, এমনি ভূমি অফিসের তহশিলদারের সাথে ভালো সম্পর্ক আছে বিধায় টুকটাক সাধারন গরীব মানুষদের সহযোগীতা করে কাগজ পত্র রেডি করে দিই।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকারিয়া জানান,খাল দখলবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।
সচেতন মহল নদী রক্ষায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান ।
আপনার মতামত লিখুন :