• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারের কুুতুবদিয়ায় পিচ্ছিল হচ্চে সড়ক : ঘটছে দুর্ঘটনা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২৩, ১২:৪৭ অপরাহ্ন / ১৬
কক্সবাজারের কুুতুবদিয়ায় পিচ্ছিল হচ্চে সড়ক : ঘটছে দুর্ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের কুুতুবদিয়ায সড়কে লবণবাহী গাড়ী থেকে নিঃসৃত পানিতে পিচ্ছিল হচ্ছে সড়ক। ফলে বিপদজ্জনক এ সড়কে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। নিয়ম থাকলেও লবণবাহী গাড়ীতে জিইওট্যাক্স (মোটা ত্রিপল) ব্যবহার করা হচ্ছে না।

এ মৌসুমে কুুতুবদিয়া দ্বীপ এলাকায় লবণ উৎপাদিত হয় বেশি। নৌপথ ও স্থলপথে এসব লবণ দেশের বিভিন্নস্থানে প্রেরণ করা হয়। মূলত সড়কপথে টলি ও ট্রাকে করেই নৌ ঘাটে এসব লবণ পৌচে দেওয়া হয়। নিয়মানুযায়ী লবণবাহী গাড়ীতে জিইওট্যাক্স ব্যবহার না করায় পুরো রাস্তায় ঝরে ঝরে পানি পড়ে। এছাড়া সড়ক হয়ে বিভিন্ন স্থানে পরিবহনের সময় কাঁচা মাটি পড়ে। রাতে কুয়াশার স্পর্শে লবণ নিঃসৃত পানি ও কাঁচা মাটি রাস্তায় আঠালো আস্তরণ সৃষ্টি করে। ফলে চলমান গাড়ি ব্রেক কষলেই আঠালো আস্তরণের স্পর্শে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ঘটে দুর্ঘটনা। প্রতিদিনের সড়কের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। হচ্ছে আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করার অবস্থা।

গত চারদিনআগে ধুরুং ঘাট সড়কে সিএনজি রাস্তার পাশে নেমে গেছে বলে জানায় চালক। কুুতুবদিয়ার উত্তরধুরুং,দক্ষিণ ধুরুং,লেমশীখালী ছোট-বড় প্রায় সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। আহত হয়েছে অনেকে। ধুরুং বাজার থেকে রাতে দরবার ঘাট ও ধুরুং ঘাট যাওয়া পথযাত্রীরা আতংকে রাতে তারা বাড়ি ফিরে বলে অনেকেই জানিয়েছেন এমন তথ্য।

সতরুউদ্দীনের এক মোটরসাইকেল আরোহী জানান, আমি এক মাস আগে ধুরুং বাজার হতে মটর সাইকেল যোগে বাড়িতে ফিরতেছি। হঠাৎ লবণ নিঃসৃত পানিতে পিচ্ছিল হওয়া রাস্তায় ব্রেক কষলেই আঠালো আস্তরণের স্পর্শে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। প্রায় ১৫ দিন হাটতে পারি নাই। । এখনো পায়ে ব্যথা রয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় সড়ক নতুন ভাবে ফিরে পাওয়ায় এ সড়কে দিন দিন গাড়ি চলাচল বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সড়ক সুন্দর হলে ও দুর্ঘটনা হচ্ছে। এদিকে টলিতে অতিরিক্ত লবণ পরিবহনের কারণে ভেঙ্গে যাই রাস্তাঘাট। তবে চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা তো রয়েছে। কে কার আগে যাবে। ফলে পিচ্ছিল সড়কে ওভারটেক করতে গিয়ে দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে। নতুবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যাচ্ছে। দুর্ঘটনা রোধে চালকদের পাশাপাশি সড়কে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।প্রশাসনের পক্ষ থেকে লবণ পরিবহনে গাড়িতে পলিথিন ব্যবহারে করার ব্যবস্তা নিতে হবে।

মোটরসাইকেল আরোহী তৌহিদ জানান, প্রতিদিন লবণবাহী গাড়ী থেকে নিঃসৃত পানিতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত দরবার ঘাট সড়কে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। আবার দিনে সূর্যের আলোতে পিচ্ছিল রাস্তা শুকিয়ে গেলেও অনেক জায়গায় গাছপালার কারণে আলো না পড়ায় পিচ্ছিলই থেকে যায়। তাই সড়কে মোটরসাইকেল চালানোর সময় সমান্য ব্রেক কষলেই দুর্ঘটনা ঘটে। আবার অনেক সময় রাস্তা এতো পিচ্ছিল থাকে ব্রেক না কষলেও দুর্ঘটনা ঘটে।আঠালো সড়কে গাড়ি চালাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে একাধিক চালক জানিয়েছেন।

লবণবাহী গাড়ী থেকে নিঃসৃত পানি ও পরিবহনের সময় কাঁচা মাটি রাস্তায় পড়ে একটি আস্তরণ সৃষ্টি হচ্ছে। ওই আস্তরণে কুয়াশার স্পর্শে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। ফলে সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এই মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক মোটরসাইকেল নিয়ে কুুতুবদিয়ায আসে। আগে থেকে এই সড়ক সম্পর্কে চালকদের ধারণা না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। তাই লবণবাহী ট্রাক থেকে যাতে পানি নিঃসৃত না হয় ও পরিবহনের সময় কাঁচা মাটি রাস্তায় না পড়ে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি।