নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজারঃ সারাদেশব্যাপি চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা গত সোমবার ঈদগাঁও`র তরুণ ও মেধাবী সংবাদকর্মীদের সংগঠন ঈদগাহ্ প্রেসক্লাবের স্থায়ী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করেছে।
গত সোমবার ৫ আগষ্ট দুপুরে সারাদেশব্যাপি ব্যাপক আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিকাল থেকে কক্সবাজারের ঈদগাঁওসহ সারাদেশব্যাপি আনন্দ উৎসবের নামে দ্বীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের জের ধরে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ও তাদের গাড়ী-বাড়ী-ঘর, সরকারি, বেসরকারি ব্যক্তিগত প্রতিষ্টান সমূহে তান্ডব চালিয়ে ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করেছে বিএনপি জামায়াতের কর্মী, সমর্থক ও বিক্ষোদ্ধ জনতা। তাদের হিংসাত্মক হামলার হাত থেকে রেহায় পাইনি বাস স্টেশনস্থ সেইফ ইসলামিয়া কমপ্লেক্সে অবস্থিত ঈদগাহ্ প্রেসক্লাবের স্থায়ী কার্যালয়। হামলায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ের গ্লাস ডোর, চেয়ার-টেবিল, বুক সেল্প, লাইট-ফ্যান, পানির ফিল্টার-হিটার, ক্যামেরা স্ট্যান্ড, প্রিন্টার-সাউন্ডবক্সসহ যাবতীয় কাগজপত্র ও সংবাদ সংগ্রহের বিভিন্ন উপকরন সমূহ ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করে নেই দুষ্কৃতকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায়- আন্দোলন চলাকালীন রবিবার ও সোমবার মার্কেট পুরোপুরি বন্ধ থাকার পরেও পিছন থেকে দেয়াল টপকে মার্কেটে প্রবেশ করে প্রেসক্লাব অফিসে ভাঙ্গচুর চালায়। তারা ধারনা করছেন দুষ্কৃতকারীরা জামায়াত-শিবির বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের উগ্রপন্থি হতে পারে। তবে দুষ্কৃতকারীরা মুখোশধারী ছিলেন।
প্রেসক্লাব সভাপতি মাহাবুব আলম বলেন- সোমবার সন্ধ্যার দিকে শুনলাম দুষ্কৃতকারীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি-সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মীদের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দিয়ে প্রেসক্লাব অফিস ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করে।
সাধারন সম্পাদক মোঃ আশফাক উদ্দীন আরফাত বলেন- দুষ্কৃতকারীদের হামলা, ভাঙ্গচুর ও লুটপাটে প্রেসক্লাবের আনুমানিক দুই লক্ষাধিক টাকার স্থায়ী সম্পদ নষ্ট হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রেসক্লাব ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :