• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন

এ বছরের ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা


প্রকাশের সময় : মার্চ ১২, ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন / ১০
এ বছরের ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ১৪৪৬ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতর-এর হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি আবদুল মালেক।

সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। গম বা আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১০ (একশ দশ) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৫৩০ (পাঁচশ ত্রিশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২,৩১০ (দুই হাজার তিনশ দশ) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৯৮০ (এক হাজার নয়’শ আশি) টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২,৮০৫ (দুই হাজার আটশ পাঁচ) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে। দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উপর্যুক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও সাদাকাতুল ফিতরা আদায় হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণরসের গভর্ণর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ড. খলীলুর রহমান মাদানী, মাওলানা শাহ মোঃ নেছারুল হক, শায়খ যাকারিয়া (রা.) রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক ড. ওয়ালিউল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব (মহাপরিচালক রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, মুহাম্মদ জালাল আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা মোঃ জাকির হোসেনসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে-কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।