
লালমনিরহাট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি শাহীনুর রহমানকে, বনানী থানার ওসি কাজী শাহান হককে রংপুর পিটিসি’তে, বাড্ডা থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়াকে এপিবিএন-৬ এ এবং নিউ মার্কেট থানার ওসি আমিনুল ইসলামকে পাঠানো হয়েছে শিল্পাঞ্চল পুলিশে।
হাজারীবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদকে ঠাকুরগাঁও ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, কলাবাগান থানার ওসি মফিজুল আলমকে খাগড়াছড়ি এপিবিএন ট্রেনিং সেন্টারে, রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়াকে কুষ্টিয়া ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ধানমন্ডি থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামকে নোয়াখালী পিটিসিতে, লালবাগ থানার ওসি খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে খাগড়াছড়ি এপিবিএন ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, চকবাজার থানার ওসি কাজী শাহীদুজ্জামানকে দিনাজপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মুহাম্মদ মাসুদ আলমকে সাতক্ষীরা ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, কোতয়ালী থানার মাহফুজুর রহমান মিয়াকে নোয়াখালী পিটিসিতে, কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়েরকে জামালপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, বংশাল থানার ওসি এস এম আবু ফরহাদকে কক্সবাজার ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, শাহজাহানপুর থানার ওসি সুজিত কুমার সাহাকে নীলফামারী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, খিলগাঁও থানার ওসি সালাহউদ্দীন মিয়াকে এপিবিএন-১৮ এবং সবুজবাগ থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহাকে খুলনা পিটিসিতে বদলি করা হয়েছে।
গেন্ডারিয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে টুরিস্ট পুলিশ (ঢাকা ও ময়মনসিংহ রেঞ্জ ব্যতীত), শ্যামপুর থানার ওসি আতিকুর রহমানকে গাইবান্ধা ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ওয়ারী থানার ওসি জানে আলম মুনশীকে এপিবিএন-১৪, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসানকে এপিবিএন-১৬, রূপনগর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল মজিদকে বরিশাল ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, ভাসানটেক থানার ওসি নাসির উদ্দিনকে খাগড়াছড়ি এপিবিএন ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, মুগদা থানার ওসি তারিকুজ্জামানকে বিপিএ সারদা, কাফরুল থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মউলাকে নোয়াখালী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, দারুস সালাম থানার মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম এপিবিএন-১০, হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেনকে হবিগঞ্জ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, শেরেবাংলা নগর থানার ওসি আহাদ আলীকে এপিবিএন-৭ এবং মোহাম্মদপুর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাকে পাঠানো হয়েছে লালমনিরহাট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে।
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে পুলিশের প্রায় সব পর্যায়ে রদবদল চলছে। শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ দেওয়া পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট ময়নুল ইসলামকে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক হারুন-অর-রশিদকে সরিয়ে পুলিশের এই এলিট ফোর্সের নেতৃত্বে আনা হয় অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমানকে।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে দিয়ে সেই জায়গায় চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডির উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. মাইনুল হাসানকে। বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় এসবির সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের মত প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তাদের।
গত ১৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক তিন আদেশে তিনজন অতিরিক্ত আইজিসহ বদলি করা হয় ৫১ পুলিশ কর্মকর্তাকে।
গত শনিবার ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ও সহকারী কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়। একই দিন ডিএমপির উপকমিশনার পদমর্যাদার সাত কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দায়িত্বে পদায়ন করা হয়।
পরদিন রোববার পুলিশের ৭৩ কর্মকর্তাকে একযোগে উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে; যাদের মধ্যে পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৩১ কর্মকর্তাকে সরাসরি দুই ধাপ পদোন্নতি দিয়ে ডিআইজি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :