নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) বর্তমান মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর। অল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে চলা এনআইডির হাল ধরে বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) অনুবিভাগটির নানামুখী সংস্কার করেছেন। চলমান সংস্কার কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা গেলে এনআইডি কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। আর এতে করে ১১ কোটি ভোটারের তথ্যভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করেন ডিজি এ কে এম হুমায়ুন কবীর। সম্প্রতি এনআইডির সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, আমি যোগদানের পরে এনআইডির কিছু সংস্কার করেছি। যেগুলো করা খুবই দরকার ছিল। প্রথমেই ছিল দ্বৈত ভোটারের বিষয় ও কার্ড বিতরণ করা। আমি শুরুতেই প্রিন্ট করা স্মার্টকার্ডগুলো বিতরণে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কিন্তু যখনই স্মার্টকার্ড বিতরণ বাস্তবায়নে অনেক দূর অগ্রসর হলাম, ঠিক তখনই বিশ্বব্যাপী করোনা হানা দিল। করোনার সময় এনআইডি সংক্রান্ত অনেক কাজ করতে হয়েছে। তাছাড়া লকডাউন থাকায় সেভাবে আর কার্ড বিতরণ সম্ভব হয়নি।
ডিজি বলেন, করোনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এনআইডির সার্বিক সেবা অনলাইনে চালু করি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টিকা নিবন্ধনে এনআইডি নম্বর বাধ্যতামূলক করায় আমাদের আরও ব্যাপকভাবে কাজ করতে হয়েছে। কারণ, আমাদের সেবার জন্য কেউ টিকা বঞ্চিত হোক, এটা আমরা কেউই চাইনি। কঠোর লকডাউনেও এনআইডির কর্মকর্তারা কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের সহজে টিকা দিতে এনআইডি জটিলতায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। কোভিডকালীন এনআইডি সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে আমার অনেক লোক কষ্ট পেয়েছে, মারাও গেছে। এ সেবা নিশ্চিতে এনআইডির প্রায় ১১০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আমাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন, এনআইডির জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কখনোই বেকায়দায় পড়েনি। তারা বলতে পারেনি যে, এনআইডির জন্য টিকা দিতে পারিনি। করোনার শুরুতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রথমে বয়োজ্যেষ্ঠদের তারপর ১৮ বছরের বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু করে। এরপর শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যাদের এনআইডি নেই, তাদের এনআইডি দেওয়ার বিষয়ে আমাদের বলা হলো। আমরা বিশ্ববিদ্যালগুলো খোলার সঙ্গে সঙ্গে যাদের এনআইডি নেই, তাদের জন্য আমাদের সব সেটআপ বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট ও পুলিশ লাইনে নিয়ে গিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এনআইডি করে দিয়েছি। যাতে করে শিক্ষার্থীরা এনআইডির মাধ্যমে সহজেই টিকা দিতে পারে।
এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেন, কোভিডকালীন এনআইডি সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে আমার অনেক লোক কষ্ট পেয়েছে, মারাও গেছে। এ সেবা নিশ্চিতে এনআইডির প্রায় ১১০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আমাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মারা গেছেন। করোনার সময়ে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এনআইডি সেবাকে অপরিহার্য বলা হয়েছিল। যার জন্যই কঠোর লকডাউনের মধ্যেও আমরা সেবা সচল রেখেছিলাম। আমরা প্রতিনিয়তই নাগরিক সেবা নিশ্চিতে কাজ করে গিয়েছি।
দ্বৈত ভোটার সমস্যা সমাধানে মহাপরিচালক বলেন, আমি এনআইডির দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্বৈত ভোটার সমস্যা সমাধানে কাজ করেছি। প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষ না বুঝে দ্বৈত ভোটার হয়ে আসছেন। এ সমস্যা সমাধানে আমরা প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে কমিটি করে দিয়েছি। যার মাধ্যমে একজন দ্বৈত ভোটার কমিটির কাছে দ্বৈত ভোটার হওয়ার যথাযথ তথ্য-প্রমাণ দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী আইডি রেখে বাকিটা দ্বৈত ভোটার থেকে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। বর্তমানে আমরা যে টেকনোলজি ব্যবহার করছি সেখানে দ্বৈত ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই।
জীবিত থেকেও মৃত তালিকায় থাকা ভোটারদের প্রসঙ্গে এনআইডি ডিজি বলেন, জীবিত হয়েও যেসব নাগরিক বা ভোটার মৃত ভোটারের তালিকায় যুক্ত আছেন তাদের সমস্যা সমাধানেও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। যারা জীবিত হয়েও মৃত ভোটারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছেন তাদের স্ব স্ব উপজেলায় ফিঙ্গার টেস্ট করার ব্যবস্থা করেছি। মৃত ভোটারের তালিকা থেকে জীবিত ভোটার তালিকায় আসতে যা যা টেকনোলজি দরকার সেগুলো আমরা উপজেলা পর্যায়ে দিয়েছি। উপজেলা অফিসে আঙ্গুলের ছাপ দিয়েই এখন ভোটাররা তাদের মৃত না জীবিত স্ট্যাটাস জানতে পারবেন। উপজেলাতেই তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সঠিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে উপজেলা রেজিস্ট্রেশন অফিসারই আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে এটা কর্তন করতে পারবেন।
ডিজি আরো বলেন, একজন মানুষ সুস্থ-স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেও শুধু ভোটার তালিকায় পাগল স্ট্যাটাস থাকায় আইনের দৃষ্টিতে তারা পাগল। আমার কাছে এরকম অনেক ভোটার এসেছিল এবং তারা বলেছে যে, সুস্থ-স্বাভাবিক। কিন্তু ভোটার তালিকায় পাগল স্ট্যাটাস থাকায় তারা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই পাগল স্ট্যাটাসের ভোটারদের সমস্যা সমাধানে এনআইডি থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমাদের সার্ভারে ৪ হাজার ২৩৪ জনের মতো পাগল ভোটার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এখন তাদেরকে চাইলেও আমরা সুস্থ-স্বাভাবিক বলতে পারি না। কারণ দেশের একজন নাগরিক পাগল না সুস্থ সেটা একমাত্র কোর্ট বলতে পারে।
দেশের সংবিধান অনুযায়ী, এ ঘোষণা আদালত ছাড়া আর কেউ দিতে পারে না। ফলে একজন ভোটার পাগল না সুস্থ সেটার আদেশ আদালত থেকে আনতে হবে। পাগল স্ট্যাটাসে থাকা কোনো ভোটারকে আদালত যদি বলেন, তিনি সুস্থ তাহলে আমরা সার্ভার থেকে তা বাদ দিয়ে থাকি। এই সমস্যা সমাধানে আমরা সার্ভার থেকে পাগল ভোটারের তালিকা করে প্রত্যেক উপজেলায় দিয়েছি। আমাদের তালিকা অনুযায়ী, কেউ পাগল না হয়েও যদি পাগল স্ট্যাটাসে থাকে তাহলে আদালতের আদেশ নিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে গেলে সার্ভার থেকে তাদের পাগল স্ট্যাটাস বাতিল করে দেওয়া যায়। এসব কাজ আমি এনআইডির দায়িত্ব নেওয়ার পর করেছি।
স্কুল পর্যায় থেকে এনআইডির উদ্যোগ নিচ্ছেন জানিয়ে এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেন, বর্তমানে আরও নতুন কিছু চিন্তা করছি। এনআইডি সেবার জন্য আরও যেসব কাজ করা দরকার, সেগুলোর ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রথমে আমাদের আইনে বলা ছিল, ১৮ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক এনআইডি সুবিধা পাবেন। পরবর্তী সময়ে আইনটা সংশোধন করা হয়েছে। এখন ১৮ বছরের কম বয়সীরাও এনআইডি সুবিধার আওতায় আসছে। আমরা এই আইন প্রয়োগের মাধ্যমে জন্মনিবন্ধনকে ভিত্তি করে স্কুল পর্যায় থেকে এনআইডি করার উদ্যোগ নিচ্ছি। বর্তমানে জন্মনিবন্ধন ছাড়া এনআইডি করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেনন, আমাদের সার্ভারে ১১ কোটি ভোটার থাকলেও এখান থেকে কেউ মারা গেলে তাদের তথ্য আমাদের দেওয়া হয় না। যার ফলে সার্ভার থেকে মৃত ভোটার কর্তন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য আমরা চিন্তা করছি, জন্মনিবন্ধন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করব। স্থানীয় সরকার থেকে যখনই মৃত্যুটা নিবন্ধিত হবে তখনই যেন সার্ভারে তথ্য চলে আসে এ ধরনের একটা পদ্ধতি চালু করব। স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে এনআইডির সার্ভারে তথ্য এলেও আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেলে কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা করতে পারলে এনআইডি সার্ভার থেকে অনেক মৃত ভোটার বাদ হবে।
ডিজি বলেন, বর্তমানে একজন নাগরিক ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন হলেই সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইলে এনআইডি নম্বর চলে যাচ্ছে। এ সুবিধা আগে ছিল না। কোভিডের সময় আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। টিকা সুবিধার পাশাপাশি জনগণের কষ্ট দূর করতেই এই কাজটা করা হয়েছিল। মোবাইলে এনআইডি নম্বর চলে যাওয়ায় কাউকে তাৎক্ষণিক ভোগান্তির শিকার হতে হয় না। মোবাইলে যাওয়া এনআইডি নম্বর দেখালে এ সংক্রান্ত সব কাজ সহজে করতে পারছেন তারা। এখন আর কাউকে কার্ডের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
প্রবাসী ভোটারদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রবাসীদের নিয়ে আলাদা ডেস্ক খুলেছি। সেখানে প্রবাসীরা কোনো ধরনের দুর্ভোগ ছাড়াই সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমাদের দেশের উন্নয়নে রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দেশের উন্নয়নে রেমিট্যান্স পেতেই হবে। প্রবাসীদের কল্যাণেই বর্তমানে দেশের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সুতরাং তাদের সেবাটা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, এছাড়া প্রবাসীদের নিয়ে আমরা আরেকটা চিন্তা-ভাবনা করছি। যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের সুযোগ করে দেয় তাহলে আমরা হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রবাসীদের এনআইডি সংক্রান্ত সব সেবা দিতে পারব। যেসব প্রবাসীরা এখনো ভোটার হয়নি, তাদের ভোটারসহ এনআইডির সব সেবা দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের আইডিএ প্রকল্প-২ এ প্রবাসীদের ভোটার করার সেক্টরটা খোলা আছে।
বর্তমানে এনআইডি থেকে ১৫৮টা প্রতিষ্ঠান সেবা নিচ্ছে। আরও ৭-৮টা প্রতিষ্ঠান সেবা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এখান থেকে সেবা নিতে ফি দিতে হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা হিটের জন্য এক টাকা আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক হিটের জন্য দুই টাকা করে পে করতে হয়। এই ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিয়ে এনআইডি এখন পর্যন্ত ২৭১ কোটি টাকা আয় করেছে। তবে করোনার সময়ে আমরা সব ধরনের সেবা ফ্রি দিয়েছি জানান মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, আমাদের সেবাগুলোকে আরও বেশি বেগবান করতে প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছি। এনআইডির কার্যক্রম খুব বড় পর্যায়ের কাজ। ফলে অনেকের নামে বা বয়সে ভুল হয়েছে। এই ভুলগুলো প্রতিনিয়তই সংশোধন করছি। ভুল হওয়া এনআইডিগুলো আমরা চারটা ধাপে সংশোধন করছি। উপজেলা, জেলা, আঞ্চলিক ও নির্বাচন কমিশন পর্যায়ে। জটিল সংশোধনের আবেদনগুলো নির্বাচন কমিশনারদের সম্মতিতে সংশোধন করা হচ্ছে। কেউ সঠিক তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সংশোধনের জন্য আবেদন করলে তদন্তের মাধ্যমে এনআইডি সংশোধন করা হয়।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে ডিজি বলেন, যারা সংশোধনের জন্য আবেদন করবেন তাদের চাহিদা সংশোধনের স্বপক্ষে কাগজপত্র দিতে হবে। তাহলে সংশোধনের আবেদনগুলো আমাদের নিষ্পত্তি করতে সহজ হবে। এছাড়া কেউ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এনআইডি সংশোধন করবেন না। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এনআইডি সংশোধন করলে আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে। এজন্য কেউ একবার, দুবার অথবা তিনবার এনআইডি সংশোধনের আবেদন করবেন না। আর যারা নতুন ভোটার হবেন, তারা অবশ্যই জন্মনিবন্ধসহ সব কাগজপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে তারপর ভোটার হতে তথ্য দেবেন। সঠিক কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হলে সংশোধনের সমস্যায় পড়তে হবে না।
ডিজি বলেন, বর্তমানে নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে সেরকম কোনো সমস্যাই হচ্ছে না। তাদের ভোটার হওয়াতে তথ্যগত ভুল কম হবে বা হচ্ছে। কারণ, বর্তমানে যারা ভোটার হচ্ছেন, তারা সঠিক তথ্যের ভিত্তিতেই ভোটার হচ্ছেন। ফলে তথ্যগত ভুল কম হচ্ছে। নির্দেশনা দিয়ে আমি বলেছি, সাধারণ জনগণকে দ্রুত সেবা দিতে হবে। সাধারণ নাগরিকদের সময়ের মূল্য দিতে হবে। কোনোভাবেই যেন একজন নাগরিক সেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার না হয়। কর্মকর্তাদেরকে আরও বেশি জনবান্ধব হতে হবে। জনবান্ধব হলে আমাদের এনআইডি সেবার সুবিধা সাধারণ জনগণ আরও বেশি পাবেন।
তিনি বলেন, এনআইডি করার ফলে আমাদের সুনির্দিষ্ট ডাটাবেজ সার্ভার আছে। সার্ভারে সংরক্ষণ আছে বলেই নির্বাচনের সময় আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোটারের তালিকা সিডি করে উপজেলাগুলোতে পাঠিয়ে দিতে পারছি। আর এটা সম্ভব হচ্ছে ডাটাবেজ সংরক্ষণের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়তই জানতে পারছি কত সংখ্যক ভোটার বৃদ্ধি পাচ্ছে, রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। এনআইডিকে আরও গতিময় করতে হবে। এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা আরও সহজ হবে। কেউ তথ্য গোপন করবেন না। সবাই সঠিক তথ্য দিয়ে নিজেও সেবা পান এবং রাষ্ট্রকেও সেবা দিতে সহায়তা করুন।
আপনার মতামত লিখুন :