মনিরুজ্জামান অপূর্ব:বিনিয়োগ, দেশীয় বাজার উন্নয়ন,রপ্তানি বৈচিত্রকরণের লক্ষ্যে দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরীর জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়নে আজ সকাল ১১:০০ টায় দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরী সংক্রান্ত একটি ভার্চুয়াল পলিসি ডায়লগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এফবিসিসিআই। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মোঃ হেলাল উদ্দিন, এনডিসি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ হেলাল উদ্দিন এফবিসিসিআইয়ের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, উৎপাদন ও সার্ভিস সেক্টরে প্রতিবছর প্রায় দশ লক্ষ লোকের চাহিদা আছে। ট্রেনিং একাডেমি সহ সকল সেক্টরে যেসব গ্যাপ রয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে কারিগরি শিক্ষা বিভাগ ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরীতে পাবলিক প্রাইভেট সমন্বিতভাবে এগোতে হবে। এফবিসিসিআই সহ সকল সেক্টরকে সমন্বিত করতে পারলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য পূরন ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো আমরা।
এসময় তিনি বিভিন্ন প্রাতষ্ঠানের ডাটাবেজের অভাব, কারিগরি শিক্ষা মূল্যায়নে সীমাবদ্ধতা, মাস্টারট্রেনারের অভাব সহ বেশকিছু সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এফবিসিসিআই সহ সকল সেক্টরকে সমন্বিত হয়ে খাতভিক্তিক গ্যাপ উত্তরনে কাজ করতে হবে। এতে দেশে বিদেশে সর্বক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাডিশন হবে, প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে।
উন্নয়নশীল দেশের উপযোগী অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরির বিষয়ে প্রস্তাবনা/সুপারিশ তৈরির উদ্যোগ নেয়ায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান এফবিসিসিআই
প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে ব্যাপক ডিজিটালাইজেশন হয়েছে। ফলে নতুন নতুন উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এরই সঙ্গে প্রয়োজনীয় দক্ষকর্মী সরবরাহের জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন এখন মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে দেশের কর্মক্ষম জনবলকে অবশ্যই প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষকর্মীর পাশাপাশি দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরি করা অত্যন্ত জরুরী। এজন্য আমাদের নীডবেজ স্পেশালাইজেশন দরকার। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশেষ খাতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করা যেতে পারে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে আরো গতিশীল করতে যথাযথ প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে বিদেশ থেকে মানসম্মত ট্রেইনার আনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসার সাথে একাডেমিয়ার যোগাযোগ নেই। এলডিসি গ্রাজুয়েশন সহ সরকারের লক্ষ্যগুলো অর্জনে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অত্যন্ত জরুরী। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প, বাণিজ্য ও অফিস ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান ও ব্যাপক হারে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট জনাব জসিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক জনাব আবু নাসের, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনে ছিলেন সহ-সভাপতি জনাব মোঃ আমিন হেলালী। এছাড়াও এফবিসিসিআইয়ের অন্যান্য পরিচালকৃন্দ, বিভিন্ন চেম্বার এসোসিয়েশনের সভাপতিবৃন্দ সহ জেনারেল বডির সদস্যগণ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থেকে গুরুত্বপূর্ন মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
আপনার মতামত লিখুন :