• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

এনইআইআর চোরাচালান দমন, ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধান ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে :টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী


প্রকাশের সময় : জুলাই ১, ২০২১, ৫:২৯ অপরাহ্ন / ২২৪
এনইআইআর চোরাচালান দমন, ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধান ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে :টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

মনিরুজ্জামান অপূর্ব,ঢাকা : অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধে আজ বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার বা NEIR (এনইআইআর) এর কার্যক্রম। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আজ ঢাকায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী টেলিকম সেক্টরে এনইআইআর একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক উল্লেখ করে বলেন, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণের পাশাপাশি ডিজিটাল অপরাধের বিস্তার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।এর সাথে রয়েছে অবৈধ হ্যান্ডসেট চোরাচালান ও ডিজিটাল নিরাপত্তা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এনইআইআর চালু করেছি যা এসব ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।এই পদ্ধতিটি কার্যত দেশের জনগণকে প্রতারণা থেকে নিরাপদ রাখার অন্যতম হাতিয়ার। তিনি নতুন প্রবর্তিত এই পদ্ধতিতে যাতে জনগণ সামান্যতম ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।তিনি দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তৈরি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এনআইআর প্রবর্তন একটি যুগান্তকারি ঘটনা উল্লেখ করেন। কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ ১৯৮৯ সালে মোবাইল যুগে প্রবেশ করলেও ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত মোবাইল ফোন ছিলো সাধারণের নাগালের বাইরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রযুক্তি বান্ধব দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচির ফলে মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ হয়, চারটি অপারেটরকে লাইসেন্স প্রদান করার মাধ্যমে মোবাইল ফোনকে সহজলভ্য করে সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়া হয়।এরই ধারাবাহিকতায় টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়। টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি বিকশিত হওয়ায় দেশে আজ ১৭কোটি মোবাইল সীম ব্যবহৃত হচ্ছে। মোবাইলে অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে ইতোপূর্বে সিম ডাটা বেজ রেজিস্ট্রেশনের আনা হয়েছে। এই নিবন্ধন থাকায় অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। এখন সিমের সাথে সেট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসছি এনইআইআর এর মাধ্যমে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, মোবাইল চুরি, ছিনতাই সরকারি রাজস্ব ফাঁকিরোধ ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি প্রবর্তনের মূল লক্ষ্য। তিনি জোর দিয়ে বলেন বিদ্যমান প্রতিটি সেট স্বয়ংক্রীয়ভাবে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে বিটিআরসিকে। জনগণ কোন অবস্থাতেই ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোন অবস্থাতেই কোন অভিযোগ যেন না আসে। কোন ব্যবহারকারির কাছ থেকে যেন কোন অভিযোগ না্ পাই তার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, মোবাইল ব্যবহারকারি অনেকেই শিক্ষিত নয়, রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে তাদের করণীয় আমাদেরকেই করতে হবে। এ গুলোর জন্য গ্রাহকের ভোগান্তি হলে মহৎ কাজটির উদ্দেশ্য ম্লান হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য কোয়ালিটি অব মোবাইল সার্ভিস নিশ্চিত করতে, অবৈধ মোবাইল সেটের ব্যবহার বন্ধে এবং গ্রাহক সেবা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য সেটের তথ্যাদি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রবর্তক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার ঐতিহাসিক এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
২০১৯ সালের ১৩ মে বিটিআরসির বিভিন্ন কার্যক্রম সংক্রান্ত সভায় বিটিআরটির ব্যবস্থাপনায় এনইআইআর চালু করতে মন্ত্রীর নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় যুগান্তকারি এই কার্যক্রম নিয়ে প্রকল্প গৃহীত হয়।

বিটিআারসি‘র চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন, টেলিটক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: সাহাব উদ্দিন, গ্রামীন ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসি উধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অধীন

সংস্থাসমূহের প্রধানগণ এবং বেসরকারি বিভিন্ন টেলকো প্রতি্ষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা, দেশের প্রযুক্তি বিকাশের ইতিহাসে এটিকে একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন ।