নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকাঃ রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীচরের হাসান নগর (ভান্ডারীর মোড় ) আবু সাইদের বাজারের সংলগ্নে ইনান হাসপাতাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারে অপচিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান মামলা না নিয়ে রফাদফার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শাহাআলম ও কাজলী মামাতো ফুফাতো ভাই বোন গত ৩১/০৩/২০২২ইং তারিখে পরিবারের সম্মতিক্রমে দু"জনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। দু"জন ও তাদের পরিবারের স্বপ্ন ছিলো শাহাআলম ও কাজলীর কুল জোড়ে আসবে ফুটফুটে বাচ্চা এই বাচ্চা নিয়ে সুখের সংসার আনন্দে উল্লাসে মাতিয়ে তুলবেন তাদের ঘরটি, সেই স্বপ্ন আর বাস্তবে রুপ নিলোনা, হত্যা করা হলো শাহাআলম ও কাজলী আক্তার ও তাদের পরিবারের স্বপ্নকে।
গত ০৭/০১/২০২৩ তারিখে কাজলী আক্তারের প্রসব ব্যাথা উঠলে ইনান হাসপাতাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল ৫ টার সময়ে তাকে হাসপালে নিয়ে যাওয়া হলে আল্ট্রা করে বাচ্চার পজিশন ভালো আছে বলে জানিয়ে ৫.২০ মিনিটে কাজলী আক্তারকে অপারেশন থিয়েটার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশন রুমে নিয়ে কাজলী আক্তারকে তখন ডাঃ সাদিয়া শারমীন সুবর্নাকে ভিডিও কল দিয়ে চালানো হয় সনাতন চিকিৎসা তখন এনএসতেশিয়া ডাঃ ফখরুল আলম কাজলী আক্তারকে একটি ইনজেকশন পোষ করেন বলে কাজলী বলেন। কিন্তু ডাঃ মোঃ আসিফ সামালিন ও হাসপাতালের মূল মালিক মোঃ আবুল কাশেম বলছেন লাভনী নামের নার্স ইঞ্জেকেশন পোষ করেন বলে নার্স লাভনীর উপরে চাপিয়েদেন। তখন সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে এনএসতেশিয়া ডাঃ ফখরুল আলম হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
ডাঃ মোঃ আসিফ সামালিন বলছেন যে (এনজিল) ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিলো রোগীকে। সেই ইঞ্জেকশনটি দুইটি কাজ করে এক ব্যাথা বাড়ানো দ্বিতীয় ব্যাথা কমানো তবে রোগীকে যখন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তখন রোগীর প্রচন্ড ব্যাথা ছিল।
রোগী ও রোগীর স্বজনরা বলছেন যে বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটে রোগীকে অপারেশন রুমে ঢুকিয়ে সনাতন চিকিৎসা চালান ডাঃ সাদিয়া শারমীন সুবর্নাকে ভিডিও কলে রেখে ৩ ঘন্টা পর কাজলীর শরীলে একটি ইঞ্জেকশন পোষ করেন এনএসতেশিয়া ডাঃ ফখরুল আলম তার ৫/৭ মিনিট পরে রোগী জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলেন, হার্ট ভিট হাড়িয়ে ফেলে কাজলীর পেটে থাকা বাচ্চাটি। এর পর পুরো হাসপাতালের ডাক্তার ও মালিকদের ছুটাছোটি করতে শুরু করেন ও বলতে থাকেন যে বাচ্চার লড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেছে । রাত ৯ টা ডাঃ সাদিয়া শারমীন সুবর্না এসে সিজার করানোর জন্যে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে ২০ মিনিট পর বাচ্চা মৃত হয়েছে বলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানান। তবে কাজলীর পরিবারের কোন অনুমতি ছাড়াই সিজার করে ফেলেন ডাঃ সাদিয়া শারমীন সুবর্না ।
এই হাসপাতালে এর আগেও একাধিক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে । কামরাঙ্গীরচরের বাসীন্দা রাজু তার স্ত্রীর বৃষ্টি"র এই হাসপাতালে সিজার করে তারও নবজাতকের মৃত্যু হয়। শাহাআলম ও কাজলীর পরিবার জানতে পেরে তখনি থানায় গিয়ে ওসি মোস্তাফিজুর রাহমানের কাছে সেবা চাইলে তিনি একটি সাধারণ ডায়রী দায়ের করতে বলেন তখন শাহালম নিজে লিখিত ডায়রী দায়ের করেন পরে ডিউটিরত অফিসার এএসআই কমলেশ গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেন। পরে এই এই মামলার ভার দেওয়া হয় এএসআই হারুনূর রশিদকে। শাহাআলম ভাবছিলেন হয়তো এতে কোন একটা সুফল আসবে! আসলে তাতো হলোই না বরন শাহাআলম ও কাজলীর পরিবার চরম চাপের মুখে পরে গেলেন রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রশাসনের।
ঐ রাতেই হাসপাতালের কতৃপক্ষ ও কাজলী, শাহাআলম এর পরিবার নিয়ে থানায় বসেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান তখন নবজাতকে হত্যা করা হয়েছে বলে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন। হাসপাতালের কতৃপক্ষকে সমস্থ কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেন ও শাহাআলমকে মামলা করবেন কিনা মিউচালে বসবেন সেটা ভাবার জন্যে ১ দিনের সময় দিয়ে পাঠিয়ে দেন। ওসি মোস্তাফিজুর রহমান একদিন পর শাহাআলম ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের কক্ষে গিয়ে মামলা করবেন বললে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান উল্টো বৈধ অনুমোদন বিহীন হাসপাতালে কতৃপক্ষের পক্ষে সাফাই গান! কিসের মামলা করবেন! কি কারনে মামলা করবেন! এমন হাসপাতালে আপনারা নিলেন কেন! দোষ আপনাদের বলে বলেন! একপর্যায়ে শাহাআলম তর্কে গেলে ওসি তখন বলেন আচ্ছা আচ্ছা আপনার স্ত্রী কাজলীকে আগে সুস্থ করেন তার জবানবন্দির প্রয়োজন আছে তার জবানবন্দি ছাড়া মামলা নেওয়া যাবেনা বলে শাহাআলমকে পাঠিয়েদেন। পরে ওসি মোস্তাফিজুরের নিজ দেশের বাড়ির এলাকার এক কথাকথিত সাংবাদিক নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক তিনি থানা থেকে বাহির হওয়র পরে শাহাআলমকে বিষয়টি মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিট করিয়ে দেবেন বলে প্রস্তাব দেন। কিন্তু শাহাআলম সেই বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন। পরে খুজ খবর নিয়ে জানা যায় যে ওসির দেশের বাড়ির লোক ঐ সাংবাদিক ও ওসির ঘনিষ্ঠ আত্বীয়। ওসির সাথে তার তুতকারী বলে ডাকতে দেখা যায় দুজনের রাস্ট্রপতির এলাকার মানুষ ও রাস্ট্রপতির আত্বীয় পরিচয় দিয়ে থাকেন ।
পরে শাহাআলম ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের গাফেলতি ও সময় অপচয় দেখে শাহাআলম আদালতের শয়ণাপর্ণ হোন। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার জন্যে ও এই হাসপাতালে একাধিক নবজাতকের হত্যা হয়েছে আর যেনো কোনো নবজাতকের হত্যা না হয়, আর যেনো কোনো মা বাবার বুকে আসার আগেই নবজাতকে দুনিয়া থেকে চলে যেতে না হয়! শাস্তির দাবি জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চান শাহাআলম ও কাজলীসহ তাদের পরিবারগণ।
আমাদের অনুশন্ধানী টিম, ইনান হাসপাতাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারে সরজমিনে গিয়ে দেখতে পান স্বাস্হ্য অধিদপ্তর, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র কোনটাই নেই তাদের শুধু মাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই চলছে এই হাসপাতাল সরকার ও প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে। শুধু তাই নহে এমন বাংলাদেশে কতো হাজার অবৈধ হাসপাতালে ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার আছে তার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য কারই জানা নেই। তবে এরা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই এইসব ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলি অনুমোদন ছাড়া শুধু মাত্র রিসিভ কপি দিয়ে সনাতন চিকিৎসার মাধ্যমের চলে তাদের ডায়গনষ্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল গুলি ।