• ঢাকা
  • সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৬ অপরাহ্ন

আশুলিয়ায় বিএনপি নেতার মদদে আওয়ামীলীগ কর্মী জাহিদ মোল্লা এখন বিএনপির লেবাসে


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ২:৫১ অপরাহ্ন / ১১৩
আশুলিয়ায় বিএনপি নেতার মদদে আওয়ামীলীগ কর্মী জাহিদ মোল্লা এখন বিএনপির লেবাসে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার, ঢাকাঃ ঢাকার আশুলিয়ার এক দাপুটে আওয়ামীলীগ নেতা ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামীম আহমেদ সুমন আহমেদ ভূইয়া ও তার অনুসারীরা গত ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকারের শোচনীয় পরাজয়ের পর লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই তার কিছু আস্থাশীল কর্মীরা কৌশলে নিজেদের লেবাস পরিবর্তন করে বিএনপি- জামায়াত এর লেবাসে এসে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ব্যাস্ত সময় পার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইয়ারপুরের স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ইয়ারপুর ইউনিয়নে ঢাকা জেলার এক যুবদল নেতা জাহিদ হাসান বিকাশের ছত্রছায়ায় মোঃ জাহিদ মোল্লা, মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকারসহ অনেকেই হামলা মামলা থেকে বাঁচতে বিএনপির লেবাসে চলাফেরা করছে। অনেকটা সেই শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার গল্পের মতো। এরা আওয়ামীলীগের দুঃশাসনকালে সুমন ভূইয়ার ইশারার দখলবাজিসহ সাধারণ মানুষের উপর জুলুম অত্যাচারসহ রাম- রাজত্ব কায়েম করেছিল। ৫ আগষ্টের আগে ঠিকই আওয়ামীলীগের সকল সুবিধা ভোগ করেছে। কিন্তু সরকার পতনের পর তারা কিছুদিন গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকার পর, এখন লেবাস পাল্টিয়ে তারা নিজেদেরকে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেই বেশি ব্যাস্ত রয়েছে । বিএনপির সকল কর্মসূচিতে এসকল বসন্তের কোকিলদের আগে দেখা যাচ্ছে। আবার বিএনপি নেতাদের সাথে সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করছে। এভাবে যদি আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির সাথে একাকার হয়ে যায় তাহলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু আশা করা যায় না। আবার এসকল বসন্তের কোকিলরা কিভাবে লেবাস পরিবর্তন করে বিএনপিতে ঘাটি গাড়ছে, তাদেরকে এ পরিবর্তন ঘটাতে কারাই বা করছে দালালী। বিএনপির এক ধরনের সুযোগ সন্ধানী নেতা কর্মীরা অর্থের লোভে এদের মতো মীর জাফরদের দলে ঠাই করে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে খাল কেটে কুমির আনার মতো, এরাই আবার নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছে। এ ঘটনায় ইয়ারপুর ইউনিয়নের বিএনপি কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দের কাছে এসকল বসন্তের কোকিলদের দল থেকে অবাঞ্ছিত করাসহ যাহারা অর্থ লোভে দলের সাথে বেইমানী করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, মোঃ জাহিদ মোল্লা বলেন আমি মূলত বিএনপির কর্মী ছিলাম এ অপরাধে ২০১৪ সালে ৬ মাস এবং ২০১৮ সালে ৩ মাস জেল খাটছি। আমাকে বাড়ি থেকে টেনে হিছড়ে উলঙ্গ করে পিটাতে পিটাতে চিত্রশাইল কেন্দ্রীয় মসজিদ পর্যন্ত নিয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠায় দিয়েছে আওয়ামীলীগের লোকজনে, শুধু তাদের মিটিং মিছিলে যাই নাই বলে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে বিগত ১৫ বছরেও আমি কোথাও থেকে কোনও ইনকাম যদি পাইয়া থাকি তাহলে আপনারা তদন্ত করে বের করেন, তারপর না হয় আমার বক্তব্য জানবেন। আমি ভাই গরীব মানুষ, আপনি শুভাকাঙ্ক্ষীই হোন আর আমার ক্ষতি করার জন্যই হোন, আপনি ফোন দিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে আমি কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত বা কতটুকু লাভবান আপনারা যাচাই করে দেখুন আমাকে আওয়ামীলীগের লোকজন নিজেদের ইচ্ছামতো যে যেভাবে পেরেছে ব্যবহার করেছে। আপনার কি বিএনপির কোনও পদ পদবী ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আপনারা খুঁজে দেখেন কি ছিলাম আর কি ছিলাম না, কিছু তো একটা ছিলাম, তদন্ত করে বের করেন আমি কি ছিলাম । ২০০৮ সালের পর লাখ লাখ মানুষ আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছে আবার পরবর্তীতে তারা নিজেদের ভূল বুঝতে পেরে আবার সরে এসেছে, আমিও সরে এসেছি। যদি কেউ কোনো রাজনীতি করেও , সে যদি মনে করে এ দলটা ভালো ভিন্ন যে কোনো দলের সাথে তার সম্পৃক্ততা থাকা এটা তার নৈতিক অধিকার বলে মনে করি। বাংলাদেশ তারে ঐ অধিকার দিছে সে যেকোনো দল করতে পারে, এটা কারো বাবার সম্পত্তি না যে এই দল করতে পারবা আর ঐ দল করতে পারবা না। তবে একটা রিকুয়েষ্ট থাকবে যারা নাকি ছাত্রদের গণ আন্দোলনে আওয়ামীলীগের সাথে তাল মিলিয়ে গনহত্যা করেছে তাদের পরিবারসহ মামলা হয়েছে, তারাতো বুক ফুলিয়ে ঘুরছে, তারা এখনো ব্যবসা করছে। কিভাবে তারা এত টাকার মালিক হয়েছে এগুলো তদন্ত করে প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান বিকাশ এর সাথে, তাকে প্রশ্ন করা হয় আওয়ামীলীগ কর্মী জাহিদ মোল্লা আপনার মদদে বিএনপির লেবাসে চলছে এমন অভিযোগ রয়েছে। আপনি কি তাকে চিনেন বা জানেন। তখন তিনি তাকে চিনেন দাবি করে বলেন আমি এখন ব্যাস্ত আছি, এবিষয়ে আপনি অন্য এক সময়ে আমার সাথে দেখা করলে বিস্তারিত জানাতে পারবো বলে ফোন কলটি কেটে দেন।