নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হচ্ছে আজ সোমবার থেকে। টানা তিনদিন চলবে সাক্ষ্যগ্রহণ। প্রভাবমুক্তভাবে বিচার প্রক্রিয়া চলার প্রত্যাশা আসামিপক্ষের।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, বিচার প্রক্রিয়ায় অনুরাগ-বিরাগের সুযোগ নেই। এক বছরের কম সময়ে বিচারের জন্য প্রস্তুত হয় চাঞ্চল্যকর মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা রাশেদ হত্যা মামলা। ২৭ জুন চার্জগঠন করে ২৬ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করা হলেও তা গতি পায়নি করোনা সংক্রমণে। পরিবর্তিত তারিখ অনুযায়ী সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিচার।
আদালত সূত্র থেকে জানা যায়, সকাল দশটার দিকে ১নং দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে হবে সাক্ষ্যগ্রহণ। প্রধান আসামি পরিদর্শক লিয়াকত ও ওসি প্রদীপ দাশসহ চার্জশিটভুক্ত ১৫ আসামির সাক্ষ্যগ্রহণ রয়েছে কার্যতালিকায়। যদিও মামলার তদন্ত ও পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে সংশয় আছে আসামিপক্ষের।
মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।