নিজস্ব প্রতিবেদকঃ করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো রাজধানীসহ দেশের সব বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক ও উদ্যান। করোনার প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে আসায় গত ১৯ আগস্ট পর্যটনকেন্দ্র খুলে দিলেও বন্ধ ছিলো চিড়িয়াখানা। তবে আজ শুক্রবার থেকে খুলছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত হলো- দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সব বিধি-নিষেধের পাশাপাশি নতুন শর্ত সাপেক্ষে আগামী ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটন কেন্দ্র খোলা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র আসন সংখ্যার শতকরা ৫০ শতাংশ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে। যে কোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন শিথিল করে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, ব্যাংক থেকে শুরু করে গণপরিবহন, শপিং মল, দোকানপাট খুলে দেয় সরকার।
এর আগে করোনাভাইরাসের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে জুলাই মাসের এক তারিখ থেকে দুই দফায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন দেয়া হয়। কোরবানির ঈদ উদযাপনের জন্য ২৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়। এর আটদিন বিরতির পর আবারও ১৪ দিনের লকডাউন দেয়া হয় এবং তা আরও পাঁচ দিন, ১০ই আগস্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ১১ আগস্ট লকডাউন শিথিল করা হয়।
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসে বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে মারা গেছেন আরও ১০২ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৭২৯ জনে।
এছাড়া দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৪ হাজার ৬৯৮ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৬২৮ জনে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৩১৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ১১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।