এম শিমুল খান, ঢাকাঃ আওয়ামীলীগ সরকারের বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন বর্তমান বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম। আওয়ামীলীগ সরকার তার সচিব হওয়ার পদোন্নতির তালিকা থেকে তার নামটি বার বার ফেলে দিয়েছিলো। তার অপরাধ ছিলো তিনি কুমিল্লায় এডিসি থাকা কালিন সময়ে বিএনপির সাবেক এমপি ও মন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) আকবর আলীর লাশটি কবরে নামানোর অপরাধে। এ অপরাধে তাকে কখনো সাজানো হয়েছিলো বিএনপির লোক আবার কখনো সাজানো হয়েছিলো জামাতে ইসলামির লোক হিসাবে।
আওয়ামীলীগ সরকার মোঃ তাজুল ইসলামের জুনিয়রদের বিভিন্ন ভাবে সচিব পদে পদোন্নতি দিলেও বার বার মোঃ তাজুল ইসলামকে তার প্রাপ্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করেছে। তাকে বিভিন্ন ভাবে বঞ্চিত ও নিগৃহীত করে রাখা হয়েছিলো আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের রোশানলে পড়ে বার বার তিনি সচিব হওয়ার পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হন। সাবেক আইন মন্ত্রী তার সচিব পদে পদোন্নতিতে বাধা প্রদান করেন।
এছাড়াও মোঃ তাজুল ইসলামের পেছনে বারংবার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু নেতা কর্মীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো তাকে হেনস্তা করার জন্য। তিনি সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করেছিলেন শুধু চাকরি বাঁচানোর জন্য।
মোঃ তাজুল ইসলামের মত একজন সৎ, দক্ষ, সাহসি কর্মকর্তাকে পদোন্নতি তো দুরের কথা চাকরি জীবনে তাকে ঘাত-প্রতিঘাত আর পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে থাকতে হয়েছে বছরের পর বছর। তারপরও বিন্দু মাত্র দ্বায়িত্ববোধ আর কর্মক্ষেত্র থেকে বিচ্যুত হননি একটুও।
মোঃ তাজুল ইসলাম বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসাবে দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার সার্বিক দিক নির্দেশনায় কারিগরি, প্রশিক্ষণ, স্থাপনাসহ সকল ক্ষেত্রে সক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে। প্রতি মাসের ১ তারিখে দেওয়া হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা। তিনি আসার পর বিআরটিসির দায় দেনা পরিশোধ করা হয়েছে ১০১ কোটি টাকা। বিআরটিসিতে যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন করা হয়েছে। তার সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনায় আমুল পরিবর্তন এসেছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিআরটিসিতে।
মোঃ তাজুল ইসলামের মত একজন দক্ষ, সৎ, সাহসি, কর্মবীর কে প্রয়োজন এ দেশ ও জাতির জন্য। কর্মক্ষেত্রে তিনি যেখানে গিয়েছেন নানা প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে তিনি তার কর্মদক্ষতার প্রমান রেখেছেন সর্বত্র।
মোঃ তাজুল ইসলামের মেধা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, আন্তরিকতা এবং সাহসিকতার কারনে বিআরটিসি আজ একটি সুন্দর অবস্থানে পৌছাতে পেরেছে।
আওয়ামীলীগ সরকারের বঞ্চনার শিকার হওয়া এ কর্মকর্তা নিজের প্রতি বিশ্বাসে অটল থেকেছেন সব সময়। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পদোন্নতি বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার হয়েও কাজ করেছেন নিজের গতিতে। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন এ পদোন্নতি বঞ্চিত ও বৈষম্যের অবসান একদিন হবেই। শত চাপের মুখেও কখনো নতি স্বীকার করেননি মোঃ তাজুল ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনি অন্তরালে থেকে ছাত্র আন্দোলনকে সহযোগিতা করেছেন তার মেধা দিয়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালিন সময়ে ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে কুমিল্লা থেকে বিজিবি আসার জন্য বিআরটিসি বাস দেওয়ার জন্য বার বার তাকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছিল। শত চাপ প্রয়োগ করা হলেও তিনি বিআরটিসির একটি বাসও দেননি বিজিবি আনার জন্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কে মনে প্রানে সমর্থন করেছিলেন তিনি।
ট্রাফিক কন্টোলে রাস্তায় থাকা ছাত্র ও ছাত্রীদের খাবার সরবরাহ করেছেন মোঃ তাজুল ইসলাম। এমন আরো অনেক ঘটনা রয়েছে। মোঃ তাজুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-সংগ্রাম কে অন্তরালে থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন।
মোঃ তাজুল ইসলাম একজন সৎ, সাহসী ও দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসাবে তার সুখ্যাতি রয়েছে সর্বত্র। তিনি আশা ও বিশ্বাস করেন বর্তমান সরকার আওয়ামীলীগ সরকারের সময় যারা বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তাদের জন্য এ সরকার অবশ্যই ভাল কিছু করবেন।