ঢাকা : আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ডা. মুরাদ হাসান ছাত্রদল ত্যাগ করে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানান ময়মনসিংহ জেলার তৎকালীন ছাত্রদলের সভাপতি মোতাহার হোসেন তালুকদার। বুধবার সকালে এ তথ্য জানান ময়মনসিংহ জেলা (উত্তর)বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম আহ্বায়ক।
সাবেক এই ছাত্রনেতা জানান, ১৯৯৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলে যোগদান করে মুরাদ। পরে ৯৪’তে মেডিকেল ছাত্রদল শাখার কমিটি হয়। সেই কমিটিতে মুরাদ প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তার কমিটির অনুমোদন তিনি নিজেই দেন বলে জানান মোতাহার হোসেন।
তিনি বলেন, মুরাদ আগে থেকেই বেপরোয়া ও মাদকাসক্ত ছিল। শহরের বাঘমারা এলাকায় গিয়ে ফেনসিডিল পান করতো। ছাত্রদলে থাকাবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নারী কেলেঙ্কারী ও ফেনসিডিল পানসহ নানা ধরনের কেলেঙ্কারী প্রকাশ পেলে আমরা তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেই। তাকে যখন বহিষ্কারের চিঠি দেওয়া হবে, সব কিছু রেডি। এটা বুঝতে পেরে সে ছাত্রলীগে চলে গেছে।
তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। কেন তিনি ছাত্রদল করলেন? এ বিষয়ে মোতাহার হোসেন তালুকদার বলেন, এটা তিনি করেছেন সুবিধা নেওয়ার জন্য। তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এসব আকাম কুকাম, মাতাব্বরী ও গুন্ডামি যারা করে ক্ষমতার ছায়াতলে থাকলে তাদের জন্য সুবিধা। তাই হয়তো তিনি ছাত্রদল করেছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ছাত্রদল ত্যাগ করে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মুরাদ।
জানা যায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) ২৯তম ব্যাচের মাত্র একজন প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ করতেন। তিনি ডা. বিজয় কুমার পাল। এরপরের ব্যাচেও কোনো ছাত্রলীগের দেখা মেলেনি। ৩১তম ব্যাচের অনেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। কিন্ত ৯৪ সালে মমেকের ৩০তম ব্যাচের কোনো মুখই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না।
৯৮’র মমেক ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি ছিলেন আব্দুল ওয়াহাব সরকার বাদল এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ডা. বিজয় কুমার পাল। বাদল-বিজয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। পরবর্তীতে ২০০০ সালে ডা. মুরাদ হন মমেক ছাত্রলীগের সভাপতি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আপনার মতামত লিখুন :