
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালঃ বরিশালের বানারীপাড়ার চৌমুহনা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আল আল-আমীনের দোকান থেকে দোকান ম্যানেজার বজলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও টাকা না দেয়ার ফন্দি খুজে যাচ্ছে নিয়মিত বজলু। এতে তাকে সহায়তা করে আসছে এলাকার কিছু ব্যক্তিবর্গ।
কিছুদিন পূর্বে মামলা হাজিরা দিতে গিয়ে মামলার সত্যতা পেয়ে বজলুকে কারাগারে প্রেরণ করেন বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর পূর্বে লিগ্যাল এইড আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর কথা স্বীকার করেন প্রতারক বজলু। সালিশ মীমাংসা এবং আপোষের কথা বলে জামিনে ৫০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুক্তি পান বজলু। আদালত নির্ধারিত তারিখের মধ্যে যোগাযোগের কথা বললেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে অভিযুক্ত বজলু।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী আল-আমিন বলেন, জামিনে মুক্তির পর থেকে ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে অভিযুক্ত বজলু। আরো জানান সালিশ মীমাংসা ও লিগ্যাল এইড এ অভিযোগ করার পরপরই মামলার বাদি আল-আমিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করেন বজলু। মামলার তদন্ত পায় বরিশাল ডিবির কার্যালয় ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আদালত এর কাছে। যাতে প্রমাণিত হয় পুরো মামলা মিথ্যা বানোয়াট ও সাজানো ছিলো।
আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত ডিবির ঐ কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত করে দেখতে পাই সম্পূর্ণ মামলাটি মিথ্যে এবং বানোয়াট ছিলো। বজলু নিজেকে মামলা থেকে রেহাই করার জন্যই এই মিথ্যা আশ্রয় গ্রহণ করে। বজলুর কথিত সাক্ষী গণের কাছ থেকে জানতে পারি মামলার যে সকল বিষয় আল-আমিন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং হয়রানি মূলক।
০২.০৩.২০২৩ ইং তারিখে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগের সত্যতা শিকার করেন বজলু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার অনেক ব্যক্তিবর্গ। গণমাধ্যমকে বজলু জানান কিছু দিনের মধ্যেই টাকা পয়সার ঝামেলা মিটিয়ে নিবে।
এ ব্যাপারে আলা-আমিন বলেন, দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছে কোন ফয়ছালার পথ দেখছি না। কারণ বজলু কোন প্রকার কোন যোগাযোগ করছে না বরং ধরাছোঁয়ার বাহিরে।আরো বলেন আমি বাংলাদেশের আইনি বিশ্বাসী আইন যে ফয়সালা দিবে আমি সেটাই স্বেচ্ছা মেনে নিব।
সালিশিগনণ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন, বজলুকে বারবার বোঝানোর পরও বজলু কারো কথা শুনছে না বরং শুনছে গাজা সুমন ওরফে সুমনের কথা।সুমন যে কথা বলে সে কথামতোই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বজলু। বজলু বলে আইন আদালত আমার কিছুই করতে পারবে না আমার সবই চেনা আছে। সালিশগণ বলেন আমরা আইনের প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল আইনে আমাদের পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস আছে।আলা-আমীনের প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য যথার্থতা প্রয়োগ করার জন্য আদালতের কাছে অনুরোধ জানাই কারণ আমাদের কোন কিছুই মানছে না অভিযুক্ত বজলু।
আপনার মতামত লিখুন :