• ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

অভিভাবকহীন পাঠক শুন্য অবস্থায় পড়ে আছে পাইকগাছার পাবলিক লাইব্রেরী ও জাদুঘর


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২, ২০২৪, ৩:৩৬ অপরাহ্ন / ১৮
অভিভাবকহীন পাঠক শুন্য অবস্থায় পড়ে আছে পাইকগাছার পাবলিক লাইব্রেরী ও জাদুঘর

মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার পাবলিক লাইব্রেরী ও জাদু ঘরের করুণ দুরাবস্থার কারণে সেটাকে জাদুঘরে পাঠানোর মত অবস্থা হয়েছে। প্রায় দেড় যুগ ধরে নেই কোন কমিটি। বর্তমানে অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। পাইকগাছা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ১৯৮৫ সালে পাবলিক লাইব্রেরী ও জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী এর প্রতিষ্ঠা করেন। যার আজীবন সদস্য ১৪৬ আর সাধারণ সদস্য ৯৩৮ জন। দু’শ বই নিয়ে শুরু হয় এর যাত্রা। পরবর্তীতে যার সংখ্যা ছিল ৫ হাজার। প্রতিষ্ঠানটি নামে থাকলেও বাস্তবে এর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে লাইব্রেরিতে নতুন কোন বই পুস্তক দেয়া হয়নি। পুরাতন যেসব বই ছিল তার মধ্যে অনেকগুলোই নষ্ট ও হারিয়ে গেছে। লাইব্রেরির ভবন ভগ্নদশায় পরিনত হয়েছে। এক সময় পাঠকের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও বর্তমান তা একেবারেই পাঠকশূন্যে হয়ে পড়েছে। পাইকগাছা পৌরসভা ১৯৯৯ সালে অলিখিতভাবে উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ থেকে পৌরসভা নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে লাইব্রেরি ও জাদুঘরটি ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক ৯ টা সংবাদপত্র লাইব্রেরিতে নেয়া হতো। কিন্তু ২ বছর যাবৎ বিল পরিশোধ না করায় ৫ মাস যাবত তা বন্ধ রয়েছে। এদিকে জাদুঘরের জানালা দরজা ভাঙ্গা, ভেতরে যেসব দুর্লভ জিনিষপত্র ছিল তার কিছুই নেই। আছে ভাঙ্গা ছেড়াছুটা আলমারি, কাঠকুটো আর ময়লা আবর্জনায় ভরা কক্ষ। কতদিন যে যাদুঘরের কক্ষটি খোলা হয়নি তাও বলতে পারলো না মাষ্টার রোলে দায়িত্বে থাকা লাইব্রেরিয়ান শেখ রাকিব সিফাত। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী জানান, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এটা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম । তখন উদ্দেশ্যও সফল হলেও প্রতিষ্ঠানটি এভাবে ধ্বংস হবে ভাবতেই পারিনা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মাহেরা নাজনীন বলেন, পাবলিক লাইব্রেরী ও যাদুঘরটি কোন অবস্থায় আছে তা আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে যাতে এটা সচল করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করা হবে।