মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ অবশেষে ৫ দিন পর খুলনার পাইকগাছায় কালিনগরস্থ ভদ্রা নদীর ভাঙ্গনের বিকল্প বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সোলাদানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হকের নেতৃত্বে ৫-৬ হাজার লোক স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধের কাজ সম্পন্ন করেন। শুক্র ও শনিবার বাঁধ বাঁধলেও জোয়ারের পানির চাপে তা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এ দিকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জোয়ারের পানির প্রভাবে নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পায় যার ফলে খুলনার পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগরস্থ ভদ্রা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যায়। প্লাবিত হয় ২২ নম্বর পোল্ডারে ১৩ টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়ে ১৫ হাজারের বেশি লোক। গবাদি পশু-পাখি, মাছের ঘের, আমনের বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলাদি তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। শতাধিক কাঁচা ঘর বাড়ী ধ্বসে পড়ায় ওয়াপদার রাস্তার উপরে , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার অসহায় মানুষ। এদিকে উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, থানাসহ পাইকগাছা উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতারণ অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরাও দফায় দফায় খাদ্য সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, দেলুটি ইউনিয়ন মুলত দ্বীপ বেষ্টিত এলাকা। এছাড়াও বাঁধের বয়স অনেক হওয়ায় ভেড়ি বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। যে কারণে প্রতিটা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভাঙ্গনের মুখে পড়ে এ এলাকাটি। এখানে প্রয়োজন টেকসহি ভেড়িবাঁধ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল বলেন, আমরা সব সময় আতংকের মধ্যে বসবাস করি। ভাঙ্গনটি আমরা সহজে বাঁধ দিতে না পারায় এলাকা বাসী মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোলাদানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক বলেন, আমি সব সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। এ ভাঙ্গনটা বাঁধতে যেয়ে কয়েকবার ব্যর্থ হয়েছি। এলাকার সর্বসাধারণের সহযোগিতা থাকায় ৬-৭ হাজার লোক নিয়ে নিয়ে সোমবার বাঁধটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :