• ঢাকা
  • রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন

অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে গোপালগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ফলাফল প্রত্যাখ্যান


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৮, ২০২৪, ৯:৩৫ অপরাহ্ন / ১১০
অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে গোপালগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ফলাফল প্রত্যাখ্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়া।

সোমবার বিকালে মুকসুদপুরের কমলাপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ সময় তিনি ভোটারদের আঙুলের ছাপ পরীক্ষা ও ভোট পুনঃগণনার জন্য নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত মুহাম্মদ ফারুক খানের কর্মী সমর্থকেরা কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়। এরপর তারা ওই সব ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অবস্থান করে জাল ভোট দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে প্রশাসন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হলেও তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।বরং জাল ভোটারদের আটকের পর আবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়া আরো বলেন, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পরও জনগণ আমাকে ৪০ হাজার ভোটে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছিলো। নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করি। আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন এসব অনিয়ম ও কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়ার ফলে প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে তারা রেজাল্ট সিট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়। নির্বাচনে পরিকল্পিতভাবে সূক্ষ্ম কারচুপি করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এছাড়াও মুহাম্মদ ফারুক খানের লোকজন বিভিন্ন স্থানে তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর চীফ এজেন্ট মোঃ ইকবাল মিয়া, কন্যা মাহনুর রহমানসহ বিপুল সংখ্যক
কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে একই দাবিতে মুকসুদপুর-বরইতলা সড়কের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা হাতে হাত দিয়ে মানববন্ধন করে। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মুহাম্মদ ফারুক খান ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর তিনি পান ১ লাখ ৮ হাজার ৯৩৪ ভোট।