• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

ঢাকা ওয়াশায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ : দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ন / ৬৬
ঢাকা ওয়াশায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ : দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোন-৩ এ কর্মরত রাজস্ব পরিদর্শক হারুন অর রশিদ একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী। তিনি বর্তমানে জিগাতলা এলাকায় দায়িত্বরত রয়েছেন।

সেখান থেকে তিনি প্রতি মাসে ৪/৫ লক্ষ টাকা ওয়াসার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেন। তার ভিতরে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা দেন তার উপরস্থ জোনে-৩ এর কর্মকর্তাদের।

হারুন অর রশিদ গত কয়েক বৎসর ধরে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তার এ কুকর্ম যেন লাগামহীন হয়ে পড়েছিল। বর্তমানেও তার এই সকল কুকর্ম চলমান আছে। এ যেন আরেক বেনজির আহম্মেদ।

হারুন অর রশিদ নামে বেনামে ফ্ল্যাট, বাড়ী, জমি, গাড়িসহ অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তার এ সকল কর্মকান্ড বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ পেলেও অদ্যঅবধি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি ওয়াশা কতৃপক্ষ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে উপর মহলে মন্ত্রী এমপিদের সাথে হাত থাকায় বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রকাশিত খবর ধামা চাপা দিয়ে দেন তিনি।

তার নিজ গ্রামের এক বৃদ্ধের জমি দখলের সময় জমির প্রকৃত মালিক (জালাল উদ্দিন, বয়স: ৫০, পিতা: মৃত চান্দে আলী) কে নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে রমজান মাসে ইফতারির সময় পুলিশের ক্ষমতা ব্যবহার করে তাকে জেলে পাঠায়। বিগত কয়েক মাস জেল খাটেন এবং পরবর্তীতে জামিনে বের হন (মামলা চলমান)।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুদকে বারবার দরখাস্ত দেওয়ার পর কোন কার্যকরী পদক্ষেন গ্রহন করে নাই দুদক। সঠিক ভাবে তদন্ত করলে তার সম্পদ বৃদ্ধি পাবে বলে জানায় এলাকাবাসী।

বর্তমান সরকারের আমলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের একজন দোসর হয়ে এসব কাজ গুলো কি ভাবে এখনও করে যাচ্ছে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। তার কি কোন সাজা হবে না ? অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে না ? এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।

হারুন অর রশিদের অঢেল সম্পত্তির তালিকা নিম্নরূপ: তার গ্রামের বাড়িতে আলীশান বিল্ডিং এবং মার্কেট রয়েছে। বাড়ি নং ১৫/৭/এ টিক্কা পাড়া ৮ম তলা বিল্ডিং। বাড়ি নং এম/৮ নুরহাজান রোড ৪র্থ তলা বিল্ডিং। বাড়ি নং-১৭, রোড- ২, চাঁন মিয়া হাউজিং ৯ম তলা বিল্ডিং।

বাড়ি নং ৩৯, রোড- ৩, ঢাকা উদ্যান ৪র্থ তলা বিল্ডিং। গাজীপুরে নামে বে নামে অঢেল সম্পত্তির পাহাড়। নিজ গ্রামে শত শত বিঘা জমি। নামে বে-নামে তার ফ্ল্যাট বাসা ও অন্যান্য কিছু আছে যাহা আপনারা তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে হারুন অর রশিদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন বক্তব্য বা মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে পরে কথা হবে বলে ফোনটি কেটে দেন।

উপরোক্ত বিষয়ে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাধারণ মানুষ।