• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ০৮:০২ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ৫ বছরের পরকীয়া অবশেষে ধর্ষণ মামলায় প্রেমিক সোহেল গ্রেফতার


প্রকাশের সময় : জুন ২৯, ২০২৫, ১:৫৭ অপরাহ্ন / ২৬
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ৫ বছরের পরকীয়া অবশেষে ধর্ষণ মামলায় প্রেমিক সোহেল গ্রেফতার

এম এ মান্নান, মধ্যনগর, সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশিকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের উমান প্রবাসী মৃত সুরুজ আলীর স্ত্রী বিধবা শমলা আক্তার (৪৮) এবং একই গ্রামের যুবক মোঃ সোহেল হোসেন (২৫) এর ৫ বছর ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল, অবশেষে পরকীয়া প্রেমিকার ধর্ষণ মামলায় প্রেমিক সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, গত ৯ জুন মঙ্গলবার দিনগত রাতে ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে, ধর্ষিতা বিধবা শমলা আক্তার অভিযোগে প্রকাশ করেছে যে, ঘটনার দিন ভোর রাতে তার ঘরে সোহেল হোসেন প্রবেশ করে, এবং তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। তাছাড়াও ঐসময় ধর্ষিতার ১৮ বছর বয়সী ছেলে পাশের রুমে ঘুমেছিলো।
কিন্তু রহস্যজনক বিষয় হল অভিযুক্ত সোহেল হোসেন ধর্ষণের পরেও, রাত প্রভাত হয়ে সকাল হলেও ঐ ঘরেই শুয়ে ঘুমাচ্ছিলো ।

পরে সকাল বেলায় ধর্ষিতার সহোদর বোন ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে সোহেলকে আটকে রাখে। পরে আশপাশে খবর দিলে লোকজন জড়ো হতে থাকে এবং এলাকার মাতব্বরগন ঘটনা স্থলে আসেন।

এ সময় উপস্থিত মাতব্বরগন বিষয়টি মিমাংসা কারার জন্য আলোচনায় বসেন। এই সুযোগে অভিযুক্ত সোহেল হোসেন জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়। এরপর মিমাংসা না হওয়ায়। গত ১২ জুন রবিবারে ধর্ষিতা বিধবা শমলা আক্তার বাদী হয়ে, মোঃ সোহেল হোসেনের বিরুদ্ধে মধ্যনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এছাড়াও আরও জানা যায়, সুরুজ আলী দেশের বাহিরে উমান থাকাকালীন, তার স্ত্রী শমলা আক্তার, একই গ্রামের মোঃ আলী হোসেনের ছেলে, মোঃ সোহেল হোসেনের সাথে ৫ বছর আগে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আড়াই বছর আগে উমান প্রবাসী সুরুজ আলী দেশের বাড়িতে আসলে তার স্ত্রী শমলা ঐ সোহেলের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার বিষয়টি জানতে পারে। এবং তার স্ত্রীকে পরকীয়ার কেলেংকারি থেকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে, অবশেষে দুই বছর আগে বিষপানে আত্মহত্যা করেন শামলার স্বামী সুরুজ আলী। তখন ঐ আত্মহত্যার বিষয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল, তারপরও দুইজনের পরকীয়া করা থামেনি। পরকীয়ার প্রেম চলছে তো চলছেই তাদেরকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পারেনি মামলা এবং সমাজের লোকজন।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী বিধবা নারী শমলা আক্তারের সাথে কথা বললে, সে গণমাধ্যমকে জানায় যে, সোহেলকে বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু তাকে ছেড়ে সোহেল পালানোর কারনে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তাছাড়া সোহেল পলাতক থাকা অবস্থায় এলাকার মাতব্বরগণ বিষয়টি আপোষ মিমাংসা কারার চেষ্টা অব্যাহত ছিলো, পরিশেষে দুই পক্ষেরেই আপোষের সম্মতি দিলো।

অবশেষে শনিবার ২৮ জুন রাত সাড়ে ৩ টার দিকে মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় এসআই বিকাশ সরকার সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায়, তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁও থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে, এবং ধর্ষক সোহেলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে ।