

নিজস্ব প্রতিবেদক আশুলিয়াঃ সাভারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মোঃ শাহীনুর কবিরের নির্দেশে আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত মোঃ কামাল হোসেনের সার্বিক তত্বাবধানে এবং সাব ইন্সপেক্টর আল মামুন মাসুদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল আশুলিয়া থানাধীন মোজামিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা একাদিক মামলার আসামি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত সাবেক ছাএলীগ নেতা এবং ভাড়াটিয়া কিলার আমির হামজাকে গ্রেফতার করেছে।
আমির হামজা মোজামিল এলাকার সোনা মহরের ছেলে। বুধবার রাত ৯টার দিকে আমির হামজাকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
বুধবার রাতে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার মোজামিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, আমির হামজা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল ,৫ আগস্ট খুনি হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আরও বেপরোয়া হয়ে পরে। আমির হামজার নেতৃত্বের দিপু পিতা-রুহুল আমিন মন্ডল, আলতাব পিতা-জয়নাল খানসহ আট-দশ জনের একটা গ্রুপ মোজারমিল , শ্রীপুর এলাকায় ভাড়াটিয়া কিলার, ছিনতাই, ইয়াবার ডিলার, অনলাইন জুয়া, জুয়ার বোর্ড পরিচালনার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। তার ভয়ে এতদিন কেউ কথা বলার সাহস পায়নি।
পুলিশ জানায়, গত ৪ ও ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাভার ও আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত অর্ধ শতাধিক ছাত্র-জনতা শহীদ ও কয়েক শত লোক আহত হয়। এসব ঘটনায় হতাহতের পরিবার মামলা করে। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আমির হামজাকে গ্রেফতার করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামাল হোসেন বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার রাতে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার মোজামিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছাত্র-জনতার একাধিক হত্যা মামলার আসামি আমির হামজাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
আমির হামজাকে গ্রেফতারের খবর শুনে ধন্যবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও জুলাই ২৪ সৈনিক কল্যাণ পরিষদ।
আপনার মতামত লিখুন :